অদম্য মেধাবী হয়েও লাভ নেই ঝিনাইদহের রতনার
#ঝিনাইদহের চোখঃ
মহেশপুরে অদম্য মেধাবী ছাত্রী রতনার উচ্চ শিক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দরিদ্র পিতা-মাতা পারছেনা তার লেখাপড়ার খরচ যোগাতে। অচিরেই ঝড়ে পড়তে পারে এই উজ্জ্বল নক্ষত্র।
উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের দরিদ্র বাদাম বিক্রেতা(হকার)মিজানুর রহমানের মেয়ে রতনা খাতুন ঢাকা তিতুমীর কলেজে অনার্স ২য় বর্ষে বাংলায় লেখাপড়া করে। তার বড় ভাই মোঃ মিলন হোসেন একই কলেজে লেখাপড়া করে। দুই ভাই বোনের মাসিক খরচ প্রায় ১৫-১৬ হাজার টাকা। তার ভাই লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম কাজ করে কিছু টাকা রোজগার করলেও লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছে না।
বাবা বাদাম বিক্রি করে প্রতিদিন ৩/৪ শ টাকা আয় করলেও সংসার চালিয়ে ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারছে না। মা হাঁস-মূরগী পালন করে আবার কখনও পরের বাড়ীতে কাজ করে ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ যোগাতো।
৪ শতক ভিটে জমি ছাড়া তাদের আর কিছুই নেই। গত দু,মাস হলো টাকা পয়সার অভাবে রতনা বাড়ী চলে এসেছে। প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করে এখন আর সে ঢাকায় যেতে পারছে না। গতকাল এ প্রতিবেদকের সাথে রতনা ও তার বাবার কথা হয়।
রতনা জানায়, তার লেখাপড়া করার প্রবল ইচ্ছা আছে। সে জীবন যুদ্ধে সংগ্রাম করে লেখাপড়া করে পরিবার ও দেশের সেবা করতে চাই। কিন্তু দারিদ্রতার কষাঘাতে তার সংগ্রাম থেমে যাচ্ছে। তার বাবা জানায়, দুই ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া করানোর ইচ্ছা থাকলেও তিনি আর পারছেন না। এতদিন না খেয়ে না দেয়ে পড়ার খরচ যোগান দিয়ে আসলেও এখন শারিরীক অসুস্থতার কারনে আর পেরে দিচ্ছে না। তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবসাীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।
তার পিতার মোবাইল নং- ০১৯৯৩-২৪০০৪৩