মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়: প্রধানমন্ত্রী
#ঝিনাইদহের চোখঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। পুলিশ এক্ষেত্রে দক্ষতার সঙ্গে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে চলবে।এক্ষেত্রে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে।কারণ, মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনাফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালকানাধীন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ পুলিশের কাছ থেকে যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে। পুলিশের সেবা তাৎক্ষণিক পেতে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ চালু করা হয়েছে। পুলিশ খুব দক্ষতার সঙ্গে এক্ষেত্রে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, জনবল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সরকার, যার সুফল ইতোমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুতপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে এক্ষেত্রে নারী পুলিশ সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আন্দোলনের নামে যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, সেভাবে পুলিশের ওপরও হামলা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যেভাবে জনগণের সেবা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন।এ ছাড়াও তিনি পুলিশের জন্য বর্তমান সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরেন।
এ সময় বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউহুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের (বিপিডব্লিউটি) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলে মোট ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৯টি।
কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিহুল হক চৌধুরী।
কমিউনিটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় হবে রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরে হাতিরঝিলের পাশে পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে। এ ছাড়া প্রিন্সিপাল শাখাসহ মোট ছয়টি শাখা দিয়ে প্রথমে এ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে শাখা বাড়ানো হবে।
২০১৮ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় পুলিশ বাহিনীকে ‘কমিউনিটি ব্যাংক অব বাংলাদেশ’ দেয়া হয়। ওই বছর নভেম্বরে ব্যাংকটিকে তফসিলি ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।