ঝিনাইদহে এমপি হাইকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেছে।
পরিকল্পনার কথোপকথনের অডিও রেকর্ড পুলিশে হাতে আসার পর দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।
গ্রেফতার দু’জন হল- শৈলকুপা উপজেলার বেষ্টপুর গ্রামের সবুর ওরফে ধোলা এবং একই গ্রামের খবিরুল। জবানবন্দিতে ধোলা কয়েকজনের নাম বলেছে। তাদের ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
সূত্র জানায়, এমপি আবদুল হাইয়ের ব্যক্তিগত সহকারী হাসিম রেজা বুধবার শৈলকুপা থানায় মামলা করেন এবং পুলিশের হাতে কথোপকথনের অডিও রেকর্ড তুলে দেন। উপজেলার বেষ্টপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে সবুর ওরফে ধোলাকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার ধোলাকে ঝিনাইদহের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করা হয়। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ধোলা ষড়যন্ত্রকারী কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে। শুক্রবার খবিরুলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ বলছে, হাইকে হত্যার ষড়যন্ত্র দলীয় লোকজন করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, প্রবীণ নেতা আবদুল হাই খোলামেলা চলাফেরা করেন। তার ব্যক্তিগত কোনো দেহরক্ষী নেই। ষড়যন্ত্র টের পাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান পিপিএম বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। গোপনীয়তা রক্ষা করে তদন্তসহ গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, গ্রেফতার দু’জন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে এবং শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, শৈলকুপা উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ওরফে সোনা সিকদার এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আশরাফুল আজমের মধ্যকার দ্বন্দ্ব সম্প্রতি প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে।