মহেশপুরে অন্ধ দাদার হাতের লাঠি ৫ বছরের নাতি
হাসানুর রহমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
আল্লাহর কাছে আমি কি অপরাধ করেছি যে কারনে আজ আমাকে দু চোখ হারিয়ে পথে পথে ভিক্ষা করে বেড়াতে হচ্ছে। হে আল্লাহ তুমি আমাকে ক্ষমা করো—এভাবেই দু চোখের পানি ফেলে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলেন-ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ৬নং নেপা ইউপির মাইলবাড়িয়া ঢাকাপাড়া গ্রামের অন্ধ নাজিমউদ্দীন।
https://www.youtube.com/watch?v=GsNKa9oT3vI
সে ৪০ বছর ধরে স্ত্রী এবং এক ছেলেকে নিয়ে মাইলবাড়ীয়া ঢাকাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন।তার ভিটেবাড়ী টুকু ছাড়া আর কিছুই নাই।তার একটি মাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর সেও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। কিছুদিন ধরে চোখের আলো হারিয়ে অসহায় হয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন ও সাহায্যের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ৫ বছরের মা হারা নাতি ইমন কে নিয়ে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন।
https://www.youtube.com/watch?v=5FFZ6a8fAFM
নাজিমউদ্দীন বলেন, বছরে শুধুমাত্র দুই ঈদে ভিজিএফের চাউল ছাড়া আজ পর্যন্ত কোন সরকারি অনুদান আমি পাইনি। এমন কি প্রতিবন্ধী কার্ডও না।
যেই ছেলেটির কাঁধে আজ থাকার কথা স্কুলের ব্যাগ সেই ছেলেটির কাঁধে আজ অন্ধ দাদার লাঠি। সবই নিয়তি। চোখের চিকিৎসার টাকা ও ক্ষুধার জ্বালায় অন্ধ দাদা, নাতি ইমনকে নিয়ে এভাবেই দুই একটা টাকার জন্য ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন।
নাজিমউদ্দিন আরও বলেন- আমার যদি চোখ দুটি ভালো হয় তাহলে আমি আমার নাতিকে নিয়ে আর ভিক্ষা করবো না তাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিবো।এবং আমি কাজ করে খাবো।আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।