ঝিনাইদহের চোখঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের শোয়ার ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কোমল কুমার রায়ের ছেলে দিপল কুমার রায় ও তার স্ত্রী ভালুকা গ্রামের ভারত চন্দ্র মণ্ডলের মেয়ে সোহাগী রানী।
নিহত সোহাগী রানীর কাকাতো ভাই লিপু মণ্ডল জানান, পূজায় দিপল কুমার শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে শোওয়ার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। আজ সকালে সোহাগী রানীর কাকাতো বোন ট্রুথপেষ্ট নিতে তাদের দরজার কড়া নাড়েন।
অনেক্ষণ কড়া নাড়ার পরেও কোনও সাড়া-শব্দ না পেয়ে এলাকাবাসী ঘরের দরজা ভেঙে তাদের লাশ দেখতে পান। তাদের মধ্যে স্বামী দিপল কুমারের মরদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলে ছিল। স্ত্রী সোহাগী রানী বিছানায় শোয়া অবস্থায় ছিলেন। চলতি বছরের ২৭ জুন তাদের বিয়ে হয়।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে স্বামী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।