জানা-অজানা

অ্যান্টিবায়োটিক ডেকে আনতে পারে ভয়াবহ বিপদ!

ঝিনাইদহের চোখঃ

কিছু হলেই আমরা ছুটি ওষুধের দোকানে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই কিনে আনি অ্যান্টিবায়োটিক।

তরুণদের মধ্যে এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। আর এতেই ডেকে আনছেন বিপদ। যখন-তখন কিছু হলেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে রয়েছে মৃত্যুর ঝুঁকি। তাই সাবধান হওয়ার এখনই সময়। কারণ তারা একবারও ভাবেন না, এর পরিণতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে!

জ্বর, সর্দি, কাশি, পেটখারাপ, মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা বা গলা ব্যথার মতো সমস্যায় গুরুত্ব দেন না অনেকেই। এমন সাধারণ উপসর্গে তারা চিকিৎসকের কাছে যান না। যান ওষুধের দোকানে। অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে নেন। অনেকে আবার গুগল সার্চ দিয়ে দেখে নেন কোন রোগের কী ওষুধ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে শরীর শুধু অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে উঠছে তা নয়, ভবিষ্যতে এদের শরীরে আর অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না। অথচ যারা অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন, তারা জানেন না যে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই তার অসুখ ভালো হতে পারতো। সামান্য হাঁচি-কাশিতেও মুড়ির মতো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ঘনিয়ে আসে বিপদ।

চিকিৎসকদের দাবি, এতে শরীরের ভেতরের জীবাণুগুলো চরিত্র বদলাতে থাকে। তারা অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি অর্জন করে। একসময় অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও আর জীবাণুগুলো মারা যায় না। ফলে অকালেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলা হয় ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’।

অথচ প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করার জন্য আইনও রয়েছে। না মানলে রয়েছে শাস্তির বিধান। কিন্তু দেখার কেউ নেই। ফলে অল্প বয়সে যথেচ্ছ অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই অযাচিত মৃত্যু ঠেকাতে দ্রুত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ঠেকাতে বলছেন চিকিৎসকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button