তাজনুর রহমান ডাবলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
অবকাঠামোর উন্নয়নহয়েছে কয়েক বছর আগে। রোগী ভর্তিরঅনুমোদন আছে ৫০ বেডের, খাদ্যের বরাদ্দও ৫০ জনের।
অথচ এখনো ডাক্তার ও জনবলকাঠামোর অনুমোদন না পাওয়ায় ধুকেধুকে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির চিকিৎসা ব্যবস্থা। ডাক্তারও প্রয়োজনীয় জনবলকাঠামোর অনুমোদন না থাকায় নষ্ট হচ্ছে চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহুমূল্যবান যন্ত্রপাতি এমনটিই জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।
খোজনিয়ে দেখা যায় দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির বহি:বিভাগে কোন মেডিকেল অফিসার রোগী না দেখায় প্রতিদিন প্রত্যন্ত পল্লীর ৭ থেকে ৮ শত অসুস্থ্য মানুষের একমাত্র ভরসা উপসহকারীকমিউনিটি মেডিকেলঅফিসার ( সেকমো)।বর্তমানে নামে মাত্র ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে ৩১ শয্যার জনবল কাঠামোতে তারপরও মেডিকেল অফিসার ও অন্যান্য পদ শূন্য।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানাযায়, বর্তমানে হাসপাতালটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ সহ ১১ চিকিৎসকের পদ রয়েছে। এরমধ্যে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক। ১১টি পদেও মধ্যে ৪ জুনিয়র কনসালটেন্ট এর পদ দীর্ঘদিন শূন্য। এছাড়া ৫০ শয্যার জন্য আরো অতিরিক্ত প্রয়োজন ৬ জুনিয়র কনসালটেন্ট, ৬ মেডিকেল অফিসারসহ চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট ২৮ টিপদের জনশক্তি। ২০১২ সালে ৫০ শয্যার অবকাঠামো নির্মান হলে শুধুমাত্র অনুমোদন মেলে খাবার ও বেডের এখন পর্যন্ত অনুমোদন মেলেনি ডাক্তার ও জনবল কাঠামোর।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহি:বিভাগে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন পৌর এলাকার হাবিবপুর গ্রামেরআব্দুল জব্বার শেখ। তিনি জানান ডাক্তার দেখিয়েছি ঠিকই কিন্ত পরে জানতে পারি এরা মেডিকেল অফিসার না। এজন্য অতৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী দেখেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার এ.কে.এম আতিয়ার রহমান। তিনি জানান, অনেকদিন শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার সংকট। যে কয়েকজন আছেন তাদের জরুরী বিভাগ সামলাতে হয়। ফলে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের সামলাতে হয় বহি:বিভাগ।তিনি আরো জানান তারা প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ শত রোগী দেখেন বহি:বিভাগে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: রাশেদ আল মামুন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ৫০শয্যার অবকাঠামো নির্মান হয় কয়েক বছর আগে। অতচ এখানে শুধুমাত্র ৫০ বেড, খাবার ও ঔষধের অনুমোদন রয়েছে। ৫০ শয্যার জন্য যে পরিমান ডাক্তার ও জনবল কাঠামোর প্রয়োজন এখন পর্যন্ত তা অনুমোদন হয়নি। তবে তিনি যোগদান করে চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন বলে জানান। তিনি বেশীদিন এখানে আসেননি। কি কারনে এতোদিনে ফাইল নড়াচড়া করেনি তিনি তা জানেন না।
তিনি আরো জানান, ৫০ শয্যার কথা বলা হলেও বর্তমানে হাসপাতালটি ৩১ শয্যার জনবলকাঠামো দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তারপরও বেশকয়েকটি জুনিয়র কনসালটেন্টের পদ শূন্য। বর্তমানে একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৪ মেডিকেল অফিসারকে জরুরী বিভাগ সামলাতে হয়। ফলে বহি:বিভাগে ডাক্তার সংকট আছে। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে সামলাতে হচ্ছে বহি:বিভাগ।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল কাঠামো নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম বলেন ৫০ শয্যার জনবল কাঠামো প্রক্রিয়াধিন আছে। আশাকরি দ্রæতই সমস্যার সমাধান হবে। আর হাসপাতালটিতে মেডিকেল অফিসারের সংকটের কারনে বর্তমানে যে কয়জন কর্মরত আছেন তাদের জরুরী বিভাগ সামলাতে হয়। ফলে বহি:বিভাগে একটু সমস্যা। সেখানে সেকমো দিয়ে রোগী দেখার কাজ সারতে হচ্ছে। তবে এটারও দ্রæতসমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।