বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকীতে র্যালী-আলোচনা সভা
মো: আজাদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী,আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার কমলগজ্ঞ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান ঝিনাইদহজেলার মহেশপুর উপজেলার খর্দ্দ খালিশপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হামিদুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।
মৗলভীবাজার জেলার কমলগজ্ঞ উপজেলার ধলাই সীমান্তে ছিল পাক হানাদার বাহিনীর শক্ত ঘাটি। কৌাশলগত কারনে এ ঘাটিটি দখল জরুরী হয়ে পড়ে মুক্তি বাহিনীর জন্য। মুক্তি বাহিনী পাক সেনা ঘাটি দখল নেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়। ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর ধলাই পাক সেনা ঘাটি আক্রমন করে মুক্তি বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। দুটি মেশিনগান দিয়ে গুলি বর্ষন করতে থাকে পাক সেনারা। মেশিনগান ধ্বংশের দায়িদ্ব পড়ে হামিদুর রহমানের উপর। এগিয়ে যান এ বীর। ধ্বংশ করেন মেশিনগান পোস্ট। মুক্তি বাহিনীর দখলে আসে পাক সেনা ঘাটি। এর পওে শত্রæর গুলিতে তিনি মৃত্যুবরন করেন। সহযোদ্ধাগন তার মরদেহ ভারতে নিয়ে ত্রিপুরার আমবাশা এলাকায় সমাহিত করেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেয় হামিদুর রহমানকে। ২০০৭ সালে এ বীরের দেহাবশেষ ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে পূনরায় সমাহিত করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফি উদ্দিনের সভাপতিত্বে সোববার সকালে সরকারী শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান ডিগ্রী কলেজে হামিদুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালী,আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ শিক্ষক পরিষদেও সাধারন সম্পাদক প্রভাষক সেলিম কবীর,ওমোর ফারুক,নাজির উদ্দিন,শাহিনুর রহমান,নাজমুল হুদা, হুমায়ন কবীর ও অত্র করেজের শিক্ষ-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছার্ত্রীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।