ক্যাম্পাসঝিনাইদহ সদর

ঝিনাইদহ গভঃ স্কুলে সাইকেল চুরির হিড়িক

আসিফ ইকবাল কাজল, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়টি এখন বাই সাইকেল চুরির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন দামী ও উন্নতমানের সাইকেল চুরি হচ্ছে।

এতে বিপাকে পড়েছে ছাত্র ও অভিভাবকরা। ছাত্ররা বলছে, এ পর্যন্ত ৩ জন সাইকেল চোরকে তারা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। কিন্তু সাইকেল চুরি কোন ভাবেই থামছে না।

গত বুধবার ঝিনাইদহ জেলা জজ আদালতেদর আইনজীবী এড সাদাতুর হাদির নবম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্র বায়েজিদ রহমান নিবিড়ের একটি দামী সাইকেল চুরি হয়েছে। এ রকম শতাধীক ছাত্রের সাইকেল চুরি হয়েছে গত ৪/৫ বছরে। সাইকেল চুরির ফলে অনেক অভিভাবক নতুন করে সাইকেল কিনে দিতে পারছে না।

এড সাদাতুর হাদি জানান, এ বিষয়ে তিনি ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি জিডি করেছেন, যার নং ১৮৪১। ছাত্ররা অভিযোগ করেছেন এ পর্যন্ত স্কুল বাউন্ডারী থেকে শাতাধীক সাইকেল চুরি হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই। সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষন করে দেখা গেছে, একটি হালকা পাতলা গড়নের চোর নবম শ্রেনীতে পড়–য়া বায়েজিদ রহমান নিবিড়ের দামী সাইকেলটি চুরি করে নির্বিঘেœ চলে যাচ্ছে।

ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, ওই সাইকেল চোরকে এর আগে একবার আটক করা হলেও শক্ত প্রমানের অভাবে জেল থেকে বেরিয়ে আবারো সাইকেল চুরিতে লিপ্ত হয়েছে। শিশু একাডেমীর পেছনে একটি টিনসেড ভবনে অজ্ঞাতনামা ওই সাইকেল চোর বসবাস করে বলে কথিত আছে।

ছাত্র অভিভাবক এড সাদাতুর হাদি জানান, ছাত্রদের সাইকেল পাহারার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পাহারাদার বসাতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ছাত্ররাই সাইকেল প্রতি একটি নিদ্দিষ্ট অংকের টাকা নিতে পারে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন এ ভাবে একের পর এক দামী সাইকেল চুরি হলে অভিভাবকদের পক্ষে কতবার সাইকেল কিনে দেওয়া যায় ?

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই শাখওয়াত হোসেন জানান, আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে চোর সনাক্ত করতে শহরের বিভিন্ন পাড়ায় যাচ্ছি। তিনি বলেন, অচিরেই আমরা চোরকে ধরতে পারবো।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button