ঝিনাইদহ সদর

ঝিনাইদহে গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার শুরু

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহে ৩ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার শুরু হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কসহ এ জেলার অন্তত ৫টি মহাসড়কের মেরামত, মজবুতিকরণ এবং সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে।

এবারই প্রথম সড়ক সংস্কার কাজে ৩ বছরের গ্যারান্টি থাকছে। এর মধ্যে সড়কের কিছু হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা ফের সংস্কার করে দেবে।

অন্য দিকে জেলা শহরের ধোপাঘাটা ও ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের বড়দা ব্রিজ এবং বিভিন্ন সড়কের ১৮টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সেগুলো যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ জেলায় ৪০৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ৫টি জাতীয়, দুটি আঞ্চলিক এবং ১১টি জেলা সড়ক রয়েছে। গেল বর্ষায় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের ১৭ কিলোমিটার এবং মাগুরা-ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের ৪০ কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

চলতি বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আলহেরা বাসস্ট্যান্ড থেকে হামদহ-আরাপপুর, ভাটই বাজার, গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডসহ ৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হয়েছে।

এ সড়কটি রাজধানীসহ উত্তরাঞ্চলের সব জেলার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে। জেলা প্রশাসনসহ এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি মেরামত ও সংস্কারের জন্য দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এএমসি ২০ কোটি ৮৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকায় সড়কটির কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

নির্বাহী কর্মর্কতা আবেদ মনসুর বলেন, পদ্মা সেতুতে যে পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে একই পাথর আমরা হামদহ-আরাপপুরসহ ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের ৯ কিলোমিটার সংস্কার কাজে ব্যবহার করছি। এ সড়ক পদ্মাসেতুর মতো মজবুত এবং টেকসই হবে বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, মোংলা বন্দরের মালামাল পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার কাজ শেষ হলে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর এবং ঝুঁকিমুক্ত হবে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কের বড় একটি অংশ জেলা শহরের মধ্যভাগ দিয়ে গেছে। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত ও সংস্কারের দাবি করে আসছিলেন পৌরবাসী। কাজ সঠিকভাবে শেষ হলে পৌর এলাকার সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার জানান, বেইজ টাইপ-১ দ্বারা ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কয়েক খণ্ডের ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন অংশের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায় ক্রমে আংশিক মজবুতিকরণ, মেরামত ও বিটুমিন ওয়ারিং কোর্সের কাজ শুরু করানো হবে।

তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি মানসম্মত এবং টেকসই করার লক্ষ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩ বছরের গ্যারান্টি বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা জামানত রাখা হয়েছে।

মেরামত কাজ শেষ হওয়ার ৩ বছরের মধ্যে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজ দায়িত্বে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে মেরামত করে দিতে হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button