ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার দ্রæত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন নিহত শিশু আলামিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে কালীগঞ্জ শহরের সাওতুল হেরা তাহফিজুল হাফেজিয়া কোরআন মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আমার ছেলে গত ৩০ নভেম্বর বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর ৫ দিন খোঁজাখুঁজি করার পর ৪ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টার দিকে আড়পাড়া এলাকার আব্দুস সামাদ মিল্টন আমাকে সর্বপ্রথম খবর দেই আমার ছেলের মৃতদেহ তার বাসার পাশে পড়ে আছে। এরপর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ আমাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। আমার ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনায় আটক হৃদয় ও সাব্বির ২ জনই আমার ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত। হৃদয়ের সাথে আমার ভাইয়ের মেয়ে জুইয়ের বিয়ে না দেওয়ায় এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমার ছেলের হত্যার ঘটনার সাথে আরো অনেকে জড়িত আছেন। অচিরেই তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি। আমার ছেলে নিখোঁজের দিন রাতে হৃদয় এবং সাব্বির নিয়ে যাওয়ার সময় শান্তা নামের এক মহিলা তাদের সালাম দেয়। কিন্তু তারা উত্তর দেয় আমরা সব সালামের উত্তর দেয় না।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আটক ২ যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। তারা বলছে, ওদের বের করে এনে দেখিয়ে দিবো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিশু আলামিনের চাচা জাহাঙ্গীর আলম, ফারুক হোসেন সহ পরিবারের সদস্যরা ।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার একটি ৪তলা ভবনের পিছন থেকে গত ৪ ডিসেম্বর নিখোঁজের ৫ দিন পর মাদ্রাসাছাত্র আলামিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কালীগঞ্জ থানা পুলিশ হৃদয় ও সাব্বির নামে দুইজনকে আটক করে।