ঝিনাইদহে তীব্র শীত ও কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে বোরো বীজতলা
ঝিনাইদহের চোখঃ
তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলায় বোরো বীজতলায় ‘কোল্ড ইনজুরি’ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। শীতের হাত থেকে বীজতলা রক্ষার জন্য চাষিরা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৪ হেক্টরে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯ হাজার ১৯৩ হেক্টরে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। দুই দফা শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা পড়ায় অধিকাংশ বীজতলায় কচি চারা কোল্ড ইনজুরি রোগে আক্রান্ত হয়ে গেছে। আর আক্রান্ত বীজতলার চারা হলুদ ও তামাটে রঙয়ের হয়ে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহের হাবিবপুর গ্রামের চাষি আশরাফ মন্ডল বলেন, একতো ধানের দাম নেই। তারপর বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। মেহেরপুর সদর উপজেলার তেরঘরিয়া গ্রামের চাষি জিয়াউর রহমান জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে বোরো চাষ করবেন। ২ কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। শীতের কারণে অনেক বীজে চারা গজায়নি। যারা আগে বীজতলা তৈরি করেছিলেন তাদের চারা হলুদ হয়ে গেছে।
শৈলকুপা উপজেলা কৃষি অফিসার সনজয় কুমার কুন্ডু জানান, শুকনা মাটিতে পলিথিনের ছাউনির নিচে বীজতলা করলে কোনো ক্ষতি হয় না। চারাও ভালো হয়। ২০-২২ দিনের চারা রোপণ করা যায়। বাগুটিয়া গ্রামের চাষি সাদেক আলি বলেন, গত বছর শুকনা মাটিতে পলিথিনের ছাউনির নিচে বীজতলা তৈরি করে ভালো ফল পাই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোর আঞ্চলিক অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আলি জানান, শীত ও কুয়াশার কারণে বীজতলার কচি চারার ‘ফিজিক্যাল গ্রোথ’ থেমে যায়। চারার খাদ্যগ্রহণ প্রক্রিয়াও থেমে যায়। এতে চারা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বৃদ্ধি থেমে যায়। চারা বিবর্ণ হয়ে পড়ে। বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিলে ভেতরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং কুয়াশায় ক্ষতি করতে পারে না। ছত্রাকের আক্রমণ হলে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে তিনি পরামর্শ দেন।