ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতনে ঘর ছাড়া রুমা

আব্দুস সালাম, ঝিনাইদহের চোখঃ

যৌতুক একটি সমাজিক ব্যাধি,যৌতুক নেওয়া ও দেওয়া দুইটাই অপরাধ,এটা জেনেও যৌতুকের জন্য নিজের স্ত্রী রুমাকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে পাষন্ড স্বামী মোঃ নাজির মিয়া(৩০)।

নাজির মিয়া ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের বেড়াশুলা গ্রামের ফকির চানের ছেলে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়,নাজির মিয়া গত ১ বছর ৭/৮ মাস আগে শ্যামনগর যাদবপুর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার মেয়ে মোছাঃ রুমা খাতুনকে ১ লক্ষ দশ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেন। রুমার বাবা না থাকায় মামা বাড়িই সে বড় হয়েছে।বিয়ের কিছুদিন পর নাজির মিয়া রুমাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং নির্যাতন চালায় পুনরায় টাকার জন্য।কিন্তু পিতৃহীন রুমা খাতুন টাকা কোথায় পাবে? অস্বচ্ছল পরিবার যেখানে উপার্যন করার কেউ নেয়।সেখানে আবার নতুন করে টাকা দিতে দিশেহারা হয়ে যায় রুমা। তারপরও সংসারের আসায় পিতৃহীন রুমা ছুটে যায় জিয়ালা গ্রামে মামা হায়দার ডাক্তার এর কাছে।

এ ব্যাপারে জিয়ালা গ্রামের রুমার মামা হায়দার ডাক্তার বলেন,আমার ভাগ্নিকে জামাই যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে। ওর বাবা না থাকায়,আমাদের পরিবারেই সে বড় হয়েছে আমরা তার বিয়ের সময় ১ লক্ষ দশ হাজার টাকা দিয়েছি,এখন জামাই আরও টাকা চায়,আমি ভাগ্নির সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে ব্যবসার জন্য টাকা দিব এই মর্মে কিছুদিন সময় চাই।এর পরে রুমা শশুর বাড়ি ফিরে যায়,রুমাকে খালি হাতে দেখে নাজির এবং তার বাবা মা সবাই ক্ষিপ্ত হয়ে পাষবিক নির্যাতন চালায়। এবং বাড়ি থেকে বের করে দেয়,নির্যাতিত রুমা এখন একই গ্রামের রেজাউল দর্জির বাড়িতে ১১ দিন ধরে আশ্রয় নিয়েছে।

এ ব্যাপারে নাজির বলেন,আমি রুমাকে নির্যাতন করিনি। যৌতুকের প্রশ্নের জবাবে,সে সাংবাদিকদের বলেন,উনারা খুশি হয়ে আমাকে যৌতুক দিয়েছে।

বেড়াশুলা গ্রামের রসুল মেম্বার জানান,শুনেছি বিয়ের পর থেকে এই সংসারে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button