শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জনসাধারনের জন্য শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই।
এম হাসান মুসা, ঝিনইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের ২য় হলেও জনসাধারনের জন্য শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সাধারণ জনগন জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য।
শৈলকুপা উপজেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবী ছিল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে শৌচাগার ও সুপেয় পানি ব্যবস্থার কিন্ত আদ্যবদি সরকারীভাবে কোন উদ্দোগ নেয়া হয়নি। শৈলকুপায় সপ্তাহে ৩ দিন জমি রেজিস্ট্রি হয় এ সময় শত শত মানুষের ভীড় দেখা যায় শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আর এ সমস্ত মানুষের জন্য নেই কোন শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা।মেয়েদের জন্য নেই কোন বসার জায়গা, এ ভাবেই চলছে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কাজ।
দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান এখন সময়ের দাবী। গত অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সেবায় সাধারণ জনগন খুশী । আগে একটা দলিল পেতে মানুষের অপেক্ষা করতে হত দিনের পর দিন সেখানে এখন দলিল পেতে সময় লাগে ৭ দিন তাও আবার এস এম এস এর মাধ্যমে।
শৈলকুপার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জমি ক্রয় বিক্রয় জনসচেনতামুলক সাইন বোর্ড শোভা পাচ্ছে।এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছে।সাব-রেজিস্ট্রার নিজ উদ্দোগে পানির ফিল্টারের ব্যবস্থা করেছে। দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান মনির বলেন, শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশের ২য় হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন উন্নয়ন হয়নি। আমরা সরকারের কাছে দাবী জানায় জনসাধারনের জন্য শৌচাগার ও সুপেয় পানি ব্যবস্থার।জানা যায় সাব রেজিস্ট্রার সঞ্জয় কুমার আচার্য্য যোগদানের পর থেকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সেবার মান ভালো।
এ ব্যাপারে সঞ্জয় কুমার আচার্য্য বলেন, শৈলকুপা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জনসাধারনের জন্য শৌচাগার ও সুপেয় পানির অভাব অনেক দিনের, এখানে সরকারী ভাবে শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকলে সাধারণ জনগনের দুর্ভোগ কমবে।