জানা-অজানাটপ লিডদেখা-অদেখামহেশপুর

মহেশপুর প্রত্যন্ত পল্লীতে ফ্যাক্তরী করে প্রায় ৪হাজার বেকারের কর্মসংস্থান

জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা মহেশপুরে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছে প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান। একাধিক ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার এই কৃতি সন্তান।

উপজেলার পুরন্দপুর মৌজায় গড়ে উঠেছে বি এন্ড টি ক্যাবলস লিঃ, বিএনটি কোল্ড স্টোরেজ লিঃ, বি এন্ড টি মিটার লিঃ, বি এন্ড পিপিএল পোল ফ্যাক্টরী। ফতেপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর মৌজায় সদ্য গড়ে উঠেছে তুষার সিরামিকস লিঃ। এছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে আরো প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।

মহেশপুর উপজেলায় এ সকল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় ৪/৫ হাজার নারী পুরুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। মহেশপুর উপজেলায় বি এন্ড টি মিটার লিঃ থেকে ডিজিটাল বিদ্যুতের মিটার উৎপাদন হচ্ছে। কোল্ড স্টোরেজে শতশত কৃষক কৃষি পণ্য মজুদ রাখতে পারছে। উন্নতমানের টাইলস উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে। মহেশপুর উপজেলা অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে বিএন্ডটি গ্রæপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর পিছনে উদ্যোক্তা হিসাবে কাজ করছে বিএন্ডটি গ্রæপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান।

১৯৫৬ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার দর্শনা পুরাতন বাজার সম্ভ্রান্ত মুসলিম তরফদার পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন। বাবা মরহুম সুজাউদ্দৌলা তরফদার মাতা মরহুমা লুৎফুনেছা বেগম। ছোটকাল থেকেইে তিনি মেধাবী ছিলেন। ৪ভাই ২বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। দর্শনা পূর্ব রামনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে মেমনগর বিডি হাই স্কুলে লেখাপড়া করে পরে চিটাগাং থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে লেখাপড়া শেষ করে জেমকোন গ্রæপে পরিচালক হিসাবে কর্ম জীবন শুরু করেন। সেখানে ৪/৫ বছর কাজ করার পর ২০০০ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর নামক স্থানে কনটেক কন্ট্রাকশন নামে একটি পোল ফ্যাক্টরী স্থাপন করেন। মোখলেসুর রহমানের বড় বোনের বাড়ি মহেশপুর উপজেলার বাগাডাঙ্গা গ্রামে ছোট বেলায় তিনি মহেশপুরে অনেক জায়গায় ঘুরেছেন এবং দেখেছেন তার ভগ্নিপতি মরহুম বজলুর রহমান মহেশপুর উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন এবং সেই টানে ২০০৩ সালে পুরন্দপুর মৌজায় পিপিএল, বিএন্ডটি ক্যবলস, বিএন্ডটি মিটার ও বিএন্ডটি কোল্ড স্টোরেজ লিঃ গড়ে তোলেন। সর্বশেষ তিনি তুষার সিরামিকস লিঃ ফ্যাক্টরী গড়ে তুলেছেন। আস্তে আস্তে আরো ৭/৮ টি প্রতিষ্ঠান তিনি গড়ে তু্েরলছেন। এতে ৪/৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জানান, এলাকার মানুষ সহযোগিতা করলে আরো কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা হবে। না হলে প্রতিষ্ঠান গড়ার আগ্রহ কেউ করবে না। এ পর্যন্ত মহেশপুরের মানুষ সহযোগিতা করেছে তাই প্রতিষ্ঠান বড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ ভাল রাখলে অনেক উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে। এতে এ অঞ্চলের উন্নয়ন হবে বলে তিনি মনে করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button