এম হাসান মুসা, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পর্নোগ্রাফী মামলা তুলে নিতে রাবেয়া খাতুন নামের এক নারীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। রাবেয়া খাতুন চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের ইনসান আলীর স্ত্রী ও একই গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। ঘটনাটি সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ধলহরাচন্দ্র গ্রামে। এ সময় পিপিলা নামে আরো এক মহিলা আহত হয় বলে জানা যায়। আহতদের শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত আব্দুর রাশিদ জানান রাবেয়া তার ভায়ের স্ত্রী। এটা রাবেয়াদের মিথ্যা অভিযোগ। ধলহরাচন্দ্র গ্রামে প্রতিপক্ষ দুটি গ্রæপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় রাবেয়া আহত হয়। মামলা তুলে নিতে নয়।
রাবেয়া খাতুনের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তার মেয়ে রাবেয়ার সাথে চরধলহরাচন্দ্র গ্রামের ইয়াকুব মন্ডলের ছেলে ইনসান আলীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই সে সিঙ্গাপুর চলে যায়। ইনসান সিঙ্গাপুর থাকায় তার ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের ছেলে ইউনুচ আলী রাবেয়াকে বাবার বাড়ি চলে যেতে বলে এবং বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতে থাকে। এরপর ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ইউনুচ ও তার সহযোগীরা তার মেয়ের কিছু ছবি কম্পিউটারাইজড করে গ্রামের গাছে গাছে ঝুলিয়ে দেয়। এ ঘটনায় একই বছরের মে মাসের ৯ তারিখে শৈলকুপা থানায় রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে ইউনুচ সহ কয়েক ব্যক্তির নামে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা তুলে নিতে সোমবার সকালে আব্দুর রশিদ, ইউনুচ, আজিজ সহ কয়েক ব্যক্তি তার মেয়ের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় পিপিলা নামের আরো এক নারী আহত হয় বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, রাবেয় তার ছোট ভায়ের স্ত্রী। বেশ কিছুদিন আগে রাবেয়া তার ছেলের নামে ষড়যন্ত্র মূলক একটি মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন ভাবে রাবেয়া তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানি করে আসছে। চরধলহরাচন্দ্র গ্রামে দীর্ঘদিন আক্তার বিশ^াস ও আব্দুর রশিদ দুটি গ্রæপের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। রাবেয়ার বাবা রবিউল ইসলাম আক্তার বিশ^াসের সমর্থক। গ্রাম্য দলাদলিতে সোমবার সকালে আক্তার সমর্থকরা আলম ও হাসানের উপর হামলা চালায় এবং হাসান শেখ, মস্তোফা, মতলেবের বাড়ি সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতেও হামলা চালায়। পরে এ ঘটনায় আক্তার বিশ^াস ও তার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় রাবেয়া একটি পক্ষে অংশ গ্রহন করে। হয়তো সে সময় সে আহত হয়ে থাকতে পারে। তারা মিথ্যা অভিযোগ করছে। মামলা তুলে নিতে তার উপর কোন হামলা হয়নি।
শৈলকুপা থানার সেকেন্ড অফিসার উপ পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান জানান ধলহরাচন্দ্র গ্রামে দু-দল গ্রামবাসির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে তিনি জানান।