হরিণাকুন্ডুতে খাদে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার নারায়নকান্দী গ্রামে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালির গর্তের পাড়ধষে গর্তে পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে । মৃত ব্যক্তি একই গ্রামের বেলেপাড়ার মৃত গফুর মন্ডলের পুত্র আনসার মন্ডল (৯২) ।
একালাবাসি ও মৃতের স্বজনেরা জানান সকাল ১১টা নাগাদ প্রকৃতিক ডাকে সড়াদিতে আনসার মন্ডল বাড়ীর কাছাকাছি আক্তার মেমবারের বালির গর্তের ধারে যায় , একঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও সে ফিরে না আসাতে লোকজন খোজ নিলে বালির গর্তের পানিতে মৃত অবস্থায় তাকে পায়। বালির গর্তের পাড় ধষে গর্তের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে মৃতের স্বজন ও স্থানিয়রা ধারণা করছে । ইতিপূর্ব বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ সহ অভিযোগ পাওয়ার পর এই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে কিছুদিন বালি উত্তোলনকারীরা থেমেছিল , কিন্তু অদৃশ্য কারণে আবার শুরু হয় উৎসবমূখর পরিবেশে বালি উত্তোলন । যার ফলশ্রুতিতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটলো। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর উত্তোলন বন্ধছিল , নতুনকরে বালি উত্তোলনকারীদের এ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ধ্বংশ , গাড়ি জব্দসহ মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ ঘএনায় থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর কাছে জানতে চাইলে বলেন এ বিষয়ে নারায়নকান্দী ফাড়ীর আইসির মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি , মৃতের আতœীয় স্বজনরা অভিযোগদিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
এলাকাবাসী সহ জানাবোঝা জ্ঞানী ব্যক্তিদের মতামত যেভাবে বেশ কয়েকবছর ধরে এই বালি উত্তোলন করাহচ্ছে তাতে নারায়নকান্দী গ্রামের শতশত একর জমির নিচে শুন্যতা শৃষ্টি হয়েছে , এভাবে চলতে থাকলে গোটা গ্রাম অতলগহ্বরে নিমজ্জিত হতে পারে , এলাকাবাসী এই নিশ্চিত ধ্বংবশ ও অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনা এড়াতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ সহ হরিণাকুন্ডু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানার আসু হ¯তক্ষেপ কামোনা করেছে ।