জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে একদল ভূমি দস্যু অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় ভয়াভহ ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে কানাইডাঙ্গা-যাদবপুর সড়কটির।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর কানাইডাঙ্গা নামক স্থানে সরকারি রাস্তার পাশ থেকে ড্রেজিং করে গত এক বছর ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে। বালু বা মাটি রপ্তানী সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ৮নং ধারার ১নং উপধারায় বলা হয়েছে, বালু বা মাটি রপ্তানী করিতে আগ্রহী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি গ্রহনের জন্য মন্ত্রণালয় কর্র্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে এবং জাতীয় কমিটির অনুমতি স্বাপেক্ষে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করতে হইবে।
কিন্তু সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে উপজেলার কানাইডাঙ্গা গ্রামের মৃত আরাফাত হোসেনের ছেলে আসাদুজ্জামান, যাবদপুগ্রামের মোস্তাফার ছেলে আনারুল হক এবং একই গ্রামের আলী হোসেনর ছেলে আনোয়ার হোসেন প্রভাবশালী ছত্রছায়ায় বালু উত্তোলন ও বিকিনি করছে। সরকারের বিধি-বিধান আমলেই আনা হচ্ছে না।
শনিবার ঐ রাস্তা দিয়ে ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসান যাওয়ার সময় তার নজরে এলে বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের কাছে সরকারি কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে এর কোন সদ-উত্তোর দিতে না পারায় স্থানীয় বিওপির মাধ্যমে বালি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে যাদবপুর বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার সিরাজুল ইসলাম জানায়, বালি উত্তোলনের ফলে সরকারি রাস্তা ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম এবং পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ফলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশনায় বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান ওরফে ক্যাপ্টেইনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তার নিজের এবং কিছু জমি লিজ নিয়ে গত এক বছর ধরে এই বালি উত্তোলন করছে। সরকারের কাছ থেকে কোন অনমুতি নেওয়া হয়নি। শনিবার বিজিবি তার বালি উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকার সচেতন মহল পরিবেশ রক্ষার্থে সরকারের উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।