কোটচাদপুরের মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে চুয়াডাঙ্গায় পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা
জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রুমা আক্তার(২০) নামের এক মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে তার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রুমা আক্তারের সাথে এক বছর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার সাখারিয়া গ্রামের আলী কদরের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৬)এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবীতে ঐ মেয়েকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল।
রুমার মা ইসমোতারা বেগম জানান, মেয়ের বিয়ের পর থেকে যৌতুকের চাহিদা মেটাতে ইতিমধ্যে তার জামাইকে তারা নগদে ২লক্ষ টাকা ও ৬০হাজার টাকার আসবাপত্র যৌতুক হিসেবে দিয়েছে। বর্তমানে আরো ৫লক্ষ টাকা যৌতুৃক দাবি করছে। আমরা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৮/৪/২০ইং তারিখে আমার জামাই জাহাঙ্গীর আলমের হুকুমে মেয়ের শ্বশুর-শ্বাশুড়ি ও ননদ মিলে আমার মেয়ের গায়ে গরম পানি ঢেলে হত্যার চেষ্টা করে। এতে আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে ঝলসে যায়। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য আমার মেয়েকে তারা ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে ১১/৪/২০ইং তারিখে জীবননগর থানা থেকে পুলিশ নিয়ে যেয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করি। আমার স্বামী বিদেশে থাকে। আমি একজন অসহায় মহিলা। তিনি সঠিক বিচার দাবি করেছেন।
নির্যতানের শিকার ভিকটিম রুমা আক্তার জানায়, তার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে মেরে ফেরার চেষ্টা করেছিল। যৌতুকের টাকা না দিলে তাকে যে কোন সময় হত্যা করতে পারে। সে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
এ ব্যাপারে রুমার মা বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।