হরিণাকুণ্ডুর গৃহবধু রত্না কী স্বামীর পাষবিক অত্যাচারের বিচার পাবে না?
এইচ মাহবুব মিলু, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পল্লিতে এক গৃহবধু রত্না স্বামী কতৃক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিচার চেয়ে ফিরছে দ্বারে দ্বারে। ইতিপূর্বে আত্নীয় স্বজন সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়ে ধরণা দিয়ে লাভ হয়নি , সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে স্বামী কতৃক ব্যপক আকারে স্বারীরিক ভাবে নির্যাতিত হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হয়েছে গৃহবধু রত্না ।
১৪ বছর পূর্বে কনেজপূর গ্রামের আজিবর রহমানের একমাত্র কন্যা রত্না বেগমের সাথে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের তাহেরহুদা গ্রামের মৃত মনসের আলী মন্ডলের একমাত্র ছেলে আবজেল আলী মন্ডলের বিবাহ হয় ।
রত্না জানায় বিবাহের ৬ মাস যতেনাযেতে তার স্বামী ও শাশুড়ী হাজেরা বেগম কারণে অকারণে তাকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে । একমাত্র মেয়ে বলে বিবাহর সময় তার বাবা গহনা সহ সাংসারিক জিনিসপত্রে সাজিয়ে দিয়েছিল তাদের সংসার । প্রথমদিকে মুখে কিছু না চেয়ে মা হাজেরা বেগমের প্ররচনায় স্ত্রীর সাথে অকারণে খারাপ ব্যবহার করতে শুরুকরে তার স্বামী আবজেল আলী। পরবর্তীতে বউ পছন্দ হয়নি একমাত্র মামা দলু মিয়ার পছন্দে বিবাহ করতে বাধ্য হয়েছে , মার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এরকম অনেক অজুহাত দেখিয়ে সংসারে অশান্তি শৃষ্টি করতে থাকে সে , একমাত্র শালা সুজোন বিদেশে থাকায় অর্থের জন্য গোপনে গোপনে স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে । সংসারে শান্তির জন্য রত্না বেগম বাবার বাড়ীথেকে বেশ কয়েকবারে সর্বমোট লক্ষাধিক টাকা ব্যবসা ও বরোজ মেরমত বাবদ এনে দেয় । কিছুদিন শান্ত থাকার পর পূনরায় বিদেশী টাকা পাওয়ার লোভে সে চাপ দিতে থাকে তার স্ত্রীকে। এর মাঝে ১৪টি বছর পেরিয়ে গেছে জন্ম নিয়েছে ৯ বছরের কন্যা মারিয়া ও ৪ বছরের পুত্র সন্তান শাহীন । সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাদের মানুষ করার আশায় বুকে পাথরবেধে কালাতিপাত করতে থেকেছে অসহায় চুপিসারে নির্যাতিত গৃহবধু রত্না ।
রত্না জানায় বিয়ের ৬ মাস পর তার স্বামী তাকে প্রচণ্ড মারধোর করে অহত করে বাড়ীতে চিকিৎসা বিহিন ফেলে রাখলে রত্না তার বাবার বাড়ীতে যোগাযোগ করলে তার ভাই সুজোন এসে তাকে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য তখোন উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করে , পরবর্তীতে আপোষ মিমাংশায় একসাথে সংসার চলতে থাকে। ৯ বছরের মেয়ে মারিয়া জানায় বুঝতে শেখার পরথেকে মায়ের উপর বাবার অত্যাচার দেখে আসছি।
ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গা রত্না এখোন বিচার চেয়ে ফিরছে দ্বারে দ্বারে ।
এব্যপার থানা অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান এর সাথে কথা বল্লে জানান , অভিযোগ পেয়ছি তদন্তের জন্য ভবানীপূর পুলিশ ফাড়ীর আইসি এসআই রফিকুল ইসলামকে দ্বায়ীত্ব দিয়েছি , সত্যতা যাচায়ের পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।