কোটচাঁদপুরটপ লিড

ঝিনাইদহে ফুলের পর এবার পেয়ারা পচে যাচ্ছে বাগানে, দিশেহারা চাষী

ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের হুমায়ন কবির পিন্টু। বর্তমানে ৩৫ বিঘা জমিতে পেয়ারার আবাদ করছেন তিনি।

তার উৎপাদিত পেয়ারা ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। গত কয়েক বছর লাভের মুখ দেখলেও এবার উৎপাদিত পেয়ারা বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা। এতে চরম লোকসানের আশঙ্কা করছেন তিনি।

শুধু হুমায়ন কবির পিন্টুই নন, তার মতো জেলার কয়েকশ’ বাগান মালিক নিজেদের উৎপাদিত পেয়ারা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন। করোনার কারণে পরিবহন সংকট থাকায় জেলায় ও জেলার বাইরে বিক্রি করতে পারছেন না পেয়ারা। অল্প-সল্প যাও বিক্রি করছেন, তারও ভালো দাম পাচ্ছেন না, বিক্রি করতে হচ্ছে অনেক কম দামে। ফলে লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে।
বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা, লোকসানের শঙ্কা বাগান মালিকদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, ঝিনাইদহের সদর, হরিণাকুন্ডু, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর উপজেলায় গত কয়েক বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে থাই পেয়ারা চাষ করে লাভবান হয়েছেন কয়েকশ’ বাগান মালিক। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এখন করোনা সংকটে বাজারে ব্যাপকভাবে বেড়েছে পেয়ারার চাহিদা। তবে করোনার কারণে পরিবহন সংকট থাকায় ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো যাচ্ছে না পেয়ারা। এতে গাছেই পচে নষ্ট হচ্ছে।

হুমায়ন কবির পিন্টু জানান, করোনার কারণে জেলার বাইরে পেয়ারা পাঠাতে পারছেন না তিনি। পাইকাররা না আসায় বাগান থেকে পেয়ারা তোলা যাচ্ছে না। সে কারণে গাছেই পচে নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা।
বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা, লোকসানের শঙ্কা বাগান মালিকদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

কোটচাঁদপুর এলাকার বাগান মালিক রাশেদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প কিছু যানবাহন চললেও তা ভাড়া বেশি চাচ্ছে। বেশি ভাড়া দিয়ে অল্প পেয়ারা পাঠিয়ে খরচই উঠছে না।
বাগানেই নষ্ট হচ্ছে পেয়ারা, লোকসানের শঙ্কা বাগান মালিকদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশ শেখর বিশ্বাস বলেন, এ বছর জেলার ছয় উপজেলায় এক হাজার আট হেক্টর জমিতে পেয়ারা আবাদ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৬৫ মেট্রিক টন। পেয়ারা বাজারজাত করণ ও পরিবহনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শ করা হয়েছে। যদি কোনো চাষি সমস্যায় পড়েন, তাহলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button