পাঠকের কথা

“প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যক্তিত্ববোধ থাকা চাই”- এ.কে.এস অনিমিথ (কসমিটোলজিস্ট)

ঝিনাইদহের চোখঃ

সর্বক্ষণ নিজস্ব ব্যক্তিত্ব বোধ বজায় রাখুন কেননা এটি সৌন্দর্যচর্চার আরেকটি অতি গুরুত্বপুর্ণ ধাপ। অনেকের কাছেই ধারণা সৌন্দর্য বলতে শুধুমাএ ফর্সা-সুন্দর মুখচ্ছবি,ফ্যাশনএবল পোষাক ও ফিটনেসকে বোঝায়। কিন্তু ধারণাটিতে আংশিক সংযোজন করতে হবে।

বরংচ সুন্দর বলতে আচার-ব্যবহার,মার্জিত চলাফেরা,কথা বলার ধরণ,রুচিশীল ব্যক্তিত্ব, বিশ্বস্ততা সব কিছু মিলিয়েই সামাজিক ভাবে একজনকে সুশ্রী মানুষ ভাবা উচিত। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরতো সেই সব মানুষেরা যারা পরোপোকারী এবং যাদের মাঝে অহঙ্কার,মিথ্যা, জোচ্চুরি, হিংসা, ,লোভ,চরিএহীনতা থাকেনা, তারাই সত্যিকারের সুন্দর মনের মানুষ, তারাই সুন্দর মানুষ।

আপনার ব্যবহারের কারণেই আপনি সকলের নিকট সুন্দর মানুষে পরিণত হয়ে উঠবেন। দেখতে যতই সুন্দর বা সুন্দরী হোন না কেন ব্যবহার-চরিএ ঠিক না থাকলে আপনি কখনোই অন্যের নিকট সুন্দর মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন না।

মনে রাখবেন ” সুন্দর মুখের কুশ্রী কথার থেকে অসুন্দর মুখের সুশ্রী কথা মানুষের কাছে অধিক প্রিয়।”

একটি সুন্দর মুখের চেয়ে, সুন্দর মন ও ব্যক্তিত্বের মূল্য পরিবারে ও সমাজের চোখে অনেক মূল্যবান।সমাজে একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন অনেক সুন্দর পুরুষের বউ তাদের ডিভোর্স দিয়ে চলে যাচ্ছে ,আবার অনেক সুন্দরী নারীরও বর তাদেরকে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছে।

তাহলে বোঝা গেল শুধু সুন্দর দিয়েই সব কিছু ধরে রাখা যায়না। প্রয়োজন ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে সকল ক্ষেএেই সঠিক বিচার-বিশ্লেষণ করার মত ব্যক্তিত্ববোধ।

আপনার কথা বলার ধরণ,অন্যকে বোঝানোর ক্ষমতা,কথার ভাব গম্ভীরতা,ব্যবহার,ধৈর্যশীলতা, বিশ্বস্ততা, চরিএ সব নিয়েই আপনার ব্যক্তিত্ববোধ।

রুচিশীল ব্যক্তিত্বের মানুষ অতি সহজেই অন্যের নিকট অসাধারন হয়ে উঠে। আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্যরূপ চর্চার পাশাপাশি ভিতরের সৌন্দর্যকেও চর্চা করুন,লালন করুন। তবেই আপনি হতে পারবেন সম্পূর্ণ ও প্রকৃত সুন্দর একজন মানুষ। সুতরাং নিজেকে সংশোধন করে নিজের ব্যক্তিত্বের চর্চা করে নিজেকে তৈরি করুন। আপনার মাঝে কিন্তু সবই শতভাগ আছে শুধু ইচ্ছা,সতর্ক ও অনুশীলনের অভাব রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button