জানা-অজানা

করোনাযুদ্ধে ১০২ টিকা তৈরির কাজ চলছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ঝিনাইদহের চোখঃ

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি উন্নত রাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্স। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র আমেরিকার। শুধু আমেরিকাতেই মুত্যু হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৬১ জন।

এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত (শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টা) গোটা পৃথিবীতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৮ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১০৫ জন।

বিশ্বব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালানো এই করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত সফল কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে নির্দিষ্টভাবে এর কোনও চিকিৎসাও হচ্ছে না আক্রান্তদের।

তবে আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জানাল ভাইরাসটির প্রতিষেধক তৈরিতে বসে নেই বিজ্ঞানীরা। এই ভাইরাস প্রতিরোধে ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে ১০২টি সম্ভাব্য টিকা তৈরির কাজ চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি নথি প্রকাশ করে এই তথ্য জানায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বজুড়ে গবেষণাধীন সম্ভাব্য এই ১০২টি টিকার মধ্যে ৮টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে। তবে চারদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ৭টি। নতুন করে যুক্ত হয়েছে চীনে গবেষণাধীন একটি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকা।

প্রথম ৭টি টিকা মানবদেহে প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল) করা হয়েছে। নতুন করে নথিভুক্ত হওয়া চীনের টিকাটি এখনও মানবদেহে প্রয়োগ করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি সংস্থাটি।

ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলোর মধ্যে ৪টি চীনের। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে একটি করে টিকা তৈরির কাজ চলছে। অপরটি যৌথভাবে তৈরির কাজ করছে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বায়োটেক কোম্পানি।

গত ১৬ মার্চ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করে দ্য আমেরিকান ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট বা এনআইএস। সেই ভ্যাকসিন এখনও পরীক্ষা-নিরিক্ষার সব ধাপ অতিক্রম করেনি। সেটি নিয়ে কাজ চলছে।

এরপর একে একে আরও ছয়টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা বায়োটেক কোম্পানি তাদের তৈরি কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য টিকা মানবদেহে প্রয়োগ করেছে। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষে কার্যকরিতার প্রমাণ পাওয়া গেলে তা বাজারে আসবে। খবর সিএনএন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button