রমজানে তারাবি পড়লেই দরকার নেই ব্যায়ামের
ঝিনাইদহের চোখঃ
রমজানে সুস্থতা বজায় রাখতে প্রয়োজন রুটিন মেনে চলার একনিষ্ঠতা।নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবারের রুটিন। সারা দিন কোন খাবার বা পানি না খেয়ে ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন, রমজানে ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণের মাত্রা বেড়ে যায়। এজন্য মোটা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে দিনের বেলায় ব্যায়াম করা মোটেও ঠিক নয়। এছাড়া রমজানে তারাবি নামাজ ঠিকমতো পড়লে অনেকখানি ব্যায়াম হয়ে যায়।
তারপরও যারা সাধারণ সময়ে নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তারা রমজান মাসে তা থামিয়ে না রেখে নিয়ম অনুযায়ী চালিয়ে যেতে পারেন। রমজানে ব্যায়ামের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো হলো-
১. সেহরি খাওয়ার পরপরই না ঘুমিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এছাড়া রোজা রাখার কারণে বিকেলে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে যায় তাই সেসময়ে ব্যায়াম না করাই ভালো। এছাড়া রোজা রাখা অবস্থায় ডায়াবেটিসের রোগী কখনোই বিকেলে ব্যায়াম করবেন না।
২. রোজার সময় সাধারণত ইফতারের ঘণ্টাখানেক পরে হালকা ব্যায়াম করা ভালো। তার জন্য ২০-৩০ মিনিট হাঁটলেই যথেষ্ট।
৩, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অর্ধেক সময় ব্যায়াম করবেন। অবশ্যই ভারী ব্যায়াম এড়িয়ে চলতে হবে এবং দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করা ঠিক হবে না।
৪. আপনি যে কয় ধরনের ব্যায়ামই করেন না কেন সময় যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। যারা ডাম্বেল বা অন্যান্য ওজন তোলেন, তারা ওজনের পরিমাণও কমিয়ে নিন।
৫. হাঁটাহাঁটি বা অন্য ব্যায়ামের সময় চোখে অন্ধকার দেখলে, বুক ধড়ফড় করলে, শরীর দুর্বল লাগলে, মাথা ঘোরালে, গলা শুকিয়ে এলে বিশ্রামে চলে যান।
৬. পানি ও লবণশূন্যতার কারণে পেশিতে ক্র্যাম্প হতে পারে। তাই ইফতারের সময় বেশি করে পানি পান করুন। ইলেকট্রোলাইটস সমৃদ্ধ ডাবের পানি পান করা আরও ভালো। ব্যায়ামের পর আবার একটু জিরিয়ে নিয়ে আবার বেশি করে পানি পান করুন।
৭. ব্যথা উপশমে যেসব ব্যায়াম করতে বলা হয়, সেগুলো রোজাদার ব্যক্তিও সারা দিনে দু-তিনবার করতে পারেন।
৮.ভারী খাবার খেয়ে ব্যায়াম করা যায় না। তাই ভালো হবে যদি হালকা ইফতার গ্রহণ করেন। বেশি তেলে বা ঘিয়ে ভাজা খাবারদাবার না খেয়ে দই, চিড়া, ছোলা, শসার সালাদ, ফলমূল ইত্যাদি খেয়ে তারপর শরীরচর্চা করলে খারাপ লাগবে না।