জানা-অজানা

যে গাইডলাইনে একদিনে হাজারো করোনা রোগী সুস্থ

ঝিনাইদহের চোখঃ

গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে সেই তুলনায় সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম। যেখানে গতকাল শনিবার পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৭ জন রোগী সেখানে রোববার তা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩ জনে।

কোভিড-১৯ থেকে একদিনে হাজারো মানুষের সেরে ওঠার খবর সর্বত্র স্বস্তি এনে দিয়েছে। তবে কীভাবে একদিনে এতজন সুস্থ হলো তা নিয়ে পরিষ্কার বক্তব্য ছিল না আইইডিসিআরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে।

তারা বলছে, কাদেরকে সুস্থ বলা হবে সে ব্যাপারে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির দেয়া একটি নতুন গাইডলাইন অনুসরণ করা হয়েছে। যে কারণে একদিনে এত মানুষ সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে দিনভর নানা আলোচনাও হয়েছে।

তবে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া গেছে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ডা. এম এ ফয়েজের বক্তব্যে। তিনি বলেন, আগের গাইডলাইন অনুযায়ী কারও মধ্যে যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হতো তাহলে তার ১৪-২১ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট করা হতো। সেখানে ফলাফল নেগেটিভ এলে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অথবা দুই তিন দিনের মধ্যে আরেকটি টেস্ট করা হতো। সেখানেও ফলাফল নেগেটিভ এলে রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হতো এবং বলা হতো তারা যেন আরও ১৪ দিন বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।

চিকিৎসক বলেন, নতুন নিয়মে রোগী যদি ক্লিনিক্যালি সুস্থ হয়ে ওঠেন অর্থাৎ পরপর তিন দিন যদি তার আর জ্বর না থাকে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট না হয় তাহলে তাকে হাসপাতালে না রেখে বাড়িতে ১৪ দিনের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বাড়ি থেকেই তার পরবর্তী দুটো পরীক্ষা করা হবে। যেটা কি না আগে হাসপাতালে থেকে করা লাগতো।

হাসপাতালে রোগীর চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button