মো: আজাদ, ঝিনাইদহরে চোখঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন ভাসছে দুই দিনের কয়েক ঘন্টা বৃষ্টির জলে। মহামারি করোনা ভাইরাস ও শ্রমিক সংকট তার পর গত দুই দিনে কয়েক ঘন্টা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে উপজেলার কয়েক’শ একর পাকা বোরো ধান ক্ষেত। সেই সাথে কৃষকের সারা বছরের স্বপ্নও ভাসে গেছে বৃষ্টির জলে। ভারী বৃষ্টিতে জমে যাওয়া ক্ষেতে কাটা ও পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে মহেশপুরের কৃষকেরা।
তিনগুন খরজ ও পরিশ্রমের পরও সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার কয়েক’শ কৃষককে। রোদ বৃষ্টি ও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদিত শত শত একর জমির ধান চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে।
উপজেলার বাথানগাছী ও শংকরহুদা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানালেন বৃষ্টির কারনে এবার সুষ্ঠু ভাবে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবেনা। কোন রকমে ধান ঘরে আসলেও গরু-ছাগলের খোরাক বিছালীর অভাবে হয়তো অনেকের গরু-ছাগল পোষা কঠিন হয়ে যাবে।
মহেশপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে,উপজেলায় এ বছর ১৭৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। যা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড় হাজার হেক্টর বেশি। ফলনও ছাড়িয়ে গেছে লক্ষমাত্রা। মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। ফলন ভাল হলেও বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় অনেক জমির ফসল তলিয়ে গেছে।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০% ধান কাটা হয়েছে।প্রাকৃতিক সমস্যায় আমাদের কারোরই হাত নেই। বৃষ্টিতে যে সমস্ত বোরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে সে সমস্ত ক্ষেতের আইল কেটে দ্রæত পানি বের করে দিতে হবে। এবং যতদ্রত সম্ভব বিচালি রেখেই ধান তুলতে হবে।