পাঠকের কথা

করোনার থাবায় নিস্তব্দ বিশ্ব–মিঠুন কুমার কর্মকার

ঝিনাইদহের চোখঃ

বিশ্ব বুঝি ঝিমিয়ে গেল করোনার গ্রাসে,
অনেক যুদ্ধ হয়েছে গোলা বারুদ আর ব্রাসে।
অনেক চলেছে যুদ্ধ সব পরাশক্তি মিলে,
একে ফরটি সেভেন, ড্রোন, কামান আর মিসাইলে।

কেন এবার নিরব হলে করোনার থাবায়?
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শেষ হলো সৃষ্টিকর্তার দাবায়।
সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যেয়ে খুব করেছে বড়াই,
এক নিমিষেই থেমে গেল দানবের বাঘ বন্দীর লড়াই।

কোথাও কোনো শব্দ নেই অস্ত্র আর বারুদে,
তবুও আমরা জড়সড় অদৃশ্য এক জীবাণুতে।
মিছিল মিটিং কোথাও নেই; হলো না কোনো হরতাল,
তবুও ঘরবন্দী জীবনে আমরা সবাই বেসামাল।

রক্তপাত হলো না কোথাও; হলো না কোনো ডাঙ্গা,
হুস, বেহুশ মানুষের বিবেক, বড়ই এখন চাঙ্গা।
রাস্তায় নেই গণ ধর্ষণ, হত্যা আর মারামারি,
ভয়ে এখন দুরু দুরু আসছে ধেয়ে মহামারি।

কখন বুঝি এসে পড়ে করোনা; জীবন চলে ভয়ে,
বিশ্ব ভাবে জীবন কি চলবে মিথ্যা দাম্ভিকতার জয়ে?
যুদ্ধ নামের খেলায় শাসকের শাসন তো অনেক হলো,
খুন, রাহাজানি, ছিনতাই, নির্মম হত্যা কোথায় গেলো?

মানুষ রুপি শাসক কোথায় গেলে তুমি,
করোনা এখন শাসন করছে তোমার মাতৃভূমি।
কাঁপছে বিশ্ববাসী, প্রকৃতি হয়েছে শান্ত,
করোনা থেকে বাঁচতে বন্ধ এখন সীমান্ত।

শান্ত এখন পৃথিবী; শান্ত মোদের চঞ্চল মন,
বিদ্বেষ আর মতভেদে কতই না কেটেছে জীবন!
করোনা তুমি এলে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করতে,
হিংসা আর অহং ছেড়ে শিক্ষা দিলে ধরতে।

করোনা তুমি দেখিয়ে দিলে সৃষ্টিকর্তার ইশারা,
কতই না তুচ্ছ আমরা হয়ে গেলাম দিশেহারা।
তবুও কেন জানি আশা জাগে মোদের বুকে,
মন্দ সময়টা চলে গেলে থাকবো সবাই সুখে।

তাই নিজ অভ্যাসে বাড়–ক ভালোবাসার বন্ধন,
দুর হোক সব অশনি সংকেত থামুক সব ক্রন্দন।
একমাত্র বাঁচানোর মালিক আল্লাহ, গড, ভগবান,
মন খুলে তারেই ডাকি বাঁচাইতে মোদের প্রাণ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button