শৈলকূপায় ১২ দিনে ৪ খুন আটক হচ্ছে না আসামিরা
এম হাসান মুসা, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় সামাজিক বিরোধে ১২ দিনের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ চার খুনের ঘটনা ঘটলেও আসামিরা আটক হচ্ছে না। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব খুন সংঘটিত হওয়া গ্রামগুলোতে মামলা ও ফের হামলার আশঙ্কায় একটি পক্ষের বাড়িঘর পুরুষ শূন্য হয়ে গেছে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ জানান, সংঘাতের ইন্ধনদাতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে এবং অপরাধীর বিচার না হওয়ায় এসব অপরাধ অব্যাহত আছে।
গত ২৯ এপ্রিল উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আরাফাত প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হন। কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আরাফাত তার নিজ বাড়ির সীমানার কলা গাছকে কেন্দ্র করে খুন হন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ৭ নম্বর হাকিমপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে ৩ মে তুচ্ছ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে খুন হন দবির উদ্দিনের ছেলে মুদি দোকানি জোয়াদ আলী। তার স্ত্রী চায়না খাতুন জানান, কে বা কারা তার শাশুরীর ঘরের সামনে মল ত্যাগ করে রাখলে জোয়াদ এ নিয়ে একটু হৈচৈ করেন। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা তাকে পেটালে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। মামলার আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে।
গত সোমবার জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ঝিনাইদহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শেষ বর্ষের ছাত্র ৫ নম্বর কাচেরকোল ইউনিয়নের ধুলিয়াপাড়া গ্রামের লোকমান মন্ডলের ছেলে অভি ও মনজের মন্ডলের ছেলে লাল্টু মন্ডল। দীর্ঘদিন ধরে খাঁ এবং মন্ডল গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন পুলিশ গ্রামটিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েক ব্যক্তিকে আটক করে।
শৈলকূপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে সার্বিক আইন শৃঙ্খলার কোনো সম্পর্ক নেই। কয়েকদিনে তারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছেন। তিনি আরও জানান, আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।