ঝিনাইদহে চেতনানাশক স্প্রে করে কিশোরি ধর্ষণের অভিযোগ
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার লক্ষীকোল গ্রামের মোঃ বারেক আলীর ছেলে জান্নাত আলী (৩০) এর নামে চেতনানাশক স্প্রে মুখে দিয়ে তারই বাসার ভাড়াটিয়ার কিশোরি মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনাই ওই কিশোরির মা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী জান্নাত আলী বাসার মালিকের ছেলে। অনুমানিক প্রায় দেড় মাস যাবত আসামীর বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে তিনি ৩ কন্যাসহ ভাড়া রয়েছেন। মানুষের বাড়িতে কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সুবাদে কাজের কারণে তিনি তার বড় মেয়েকে নিয়ে প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বের হন। আসামী কিশোরিকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ঘটনার দিন বাড়িতে একা পেয়ে তার অনৈতিক লালসা চরিতার্থ করার জন্য সে আমার মেয়ের মুখে চেতনানাশক ওষুধ স্প্রে করে অজ্ঞান করে।
গত ইংরেজি ২৪ মে সকাল অনুমান ১০ টার সময় তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। কন্যার জ্ঞান ফিরলে আসামী তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে বলে, এই কথা যদি কাউকে বলিস তবে তোকে খুন করে ফেলবো। তখন আমার কিশোরি ভয়ে বিষয়টি কাউকে কিছু না বললে ধর্ষক জোরপূর্বক আমার মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় একাধিকবার ধর্ষণ করে। এবাবে ৩০ মে আবারও বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ধর্ষক জান্নাত আমার মেয়েকে অনৈতিক কাজের কথা বললে আমার মেয়ে প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে ধারালো ছুরি গলায় ধরে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে। এসময় তার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে করে ওই কিশোরি অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়ে। বর্তমানে আসামী আমার ও আমার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে বলে এই নিয়ে যদি কোন বাড়াবাড়ি করিস তবে তোদেরকে জানে মেরে ফেলবো। আসামী অত্যন্ত খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।
এবিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আসামী পক্ষের লোকজন ভুক্তভোগী পরিবারের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি (তদন্ত) এমদাদুল হক বলেন, এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খাইরুল ইসলাম নিরব