টপ লিডহরিনাকুন্ডু

ঝিনাইদহে ৪ বছর পর আনু হত্যার রহস্য উদঘাটন

ঝিনাইদহের চোখঃ

পুলিশ ও পিবিআই দুই দফা তদন্ত করে ব্যর্থ হওয়ার চার বছর পর ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের মাঠে আনোয়ার হোসেন আনু হত্যার রহস্য উদ্ধার করেছে সিআইডি পুলিশ। সেইসাথে গ্রেপ্তার হয়েছে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৩ হত্যাকারী।

নিহত আনোয়ার হোসেন আনু হরিণাকুন্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের ভালকী গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাহেব আলী, শাহিন কবির ঝলক (৩৮) ও রাশিদুল ইসলাম কুটি (৪৩)।

সাহেব আলী ঘোড়াগাছা গ্রামের মৃত নফর আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার অধীন উদয়পুর গ্রামে বসবাস করতেন। সাহেব আলীকে ইবি থানার ঝাউদিয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সিআইডি পুলিশ গত বৃহস্পতিবার হরিণাকুন্ডু উপজেলার কিছমত ঘোড়াগাছা গ্রামে অভিযান চালিয়ে একই গ্রামের আবুল মিয়ার ছেলে শাহিন কবির ঝলক (৩৮) ও ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে রাশিদুল ইসলাম কুটিকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়।

সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রয়ারি মধ্যরাতে আনোয়ার হোসেন আনুকে গলাকেটে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরদিন তার স্ত্রী বিউটি খাতুন বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা করেন।

মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ কোন আসামি বা হত্যার মোটিভ উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে ২০১৭ সালের ৮ আগষ্ট হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আসাদুজ্জামান আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। বাদী চূড়ান্ত রিপোর্টের বিরুদ্ধে নারাজী দিলে আদালত ঝিনাইদহ পিবিআইকে মামলাটি পুনঃতদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।

পিবিআই’র এসআই ইসমাইল হোসেন এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল তিনিও হরিণাকুন্ডু থানার সম্পূরক চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। বাদীর পুনরায় নারাজির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আদালত ঝিনাইদহ সিআইডি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

সিআইডি’র এসআই মাসুদ রানা একই বছরের ১৯ ডিসেম্বর থেকে তদন্ত শুরু করেন। তিনি গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মামলার রহস্য ও হত্যার সাথে জড়িত ৩ আসামিকে শনাক্ত করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতের নিকট সোপর্দ করেছেন।

ক্লুলেস হত্যা মামলাটির তৃতীয় দফা দায়িত্বভার গ্রহণকারী তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ রানা জানান, মামলাটি তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। এরপর সন্দেহজনক আসামিদের ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করে সফলতা পায়।

তিনি বলেন, এই মামলায় আরো অনেকেই সম্পৃক্ত আছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button