জানা-অজানাশৈলকুপা

শৈলকূপায় ভেজাল পশুখাদ্য বিক্রেতা অর্নব ট্রেডার্সকে জরিমানা

ঝিনাইদহের চোখঃ

গো-খাদ্যের নামে কি বিক্রি হচ্ছে ? কৃষকের সর্বনাশ করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ব্যবসায়ী নামের দুর্বৃত্তরা । আর এই টাকার ভাগ যায় অনেকের পকেটেই ! এই যখন অবস্থা তখন ভেজাল গো খাদ্য বিক্রি করার দায়ে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয়েছে এ ধরনের এক ব্যবসায়ী কে। তবে আরো অনেকেই রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে । ঝিনাইদহের শৈলকুপার হাজি মার্কেট মোড়, কবিরপুর, ফাজিলপুর সহ শৈলকুপার বিভিন্ন হাট-বাজারে রয়েছে এসব ভেজাল গো-খাদ্য বিক্রির সিন্ডিকেট।

নিন্মমানের পঁচা গম, ধানের গুড়া সহ বিভিন্ন মিল থেকে নষ্ট ভূষি এনে স্থানীয় পঁচা গম, চালের খুঁদের ভেতরে পাথরকুঁচি, ধানের তুষ রাইচ মিলে পিষে বাজারজাত করা হচ্ছে। আর এতে দেশের নামি-দামি বিভিন্ন কোম্পানীর স্টিকার, লোগো, সীল ব্যবহার করা হচ্ছে।

গোপনে গুদাম বানানো হয়, সেখানে বাইরে থেকে সারাদিন তালা ঝুলানো থাকে । এসব গুদামে রাতদিন চলে ভেজাল মিশ্রিত কারবার । তারপর তা যায় ভাটই, হাট-ফাজিলপুর, লাঙ্গলবাধ, শেখপাড়া, ঝিনাইদহ সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে । ব্যবহার করা হয় লরি, ভ্যান সহ বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন। এসব ব্যবসায়ী দুর্বৃত্তদের সাথে একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে ।

কৃষকদের সাথে প্রতারনার এমন নানা অভিযোগে, সোমবার দুপুরে শৈলকুপার হাজী মোড়ের পাশে অর্নব ট্রেডার্সের মালিক মুক্তার হোসেনকে মোবাইল কোর্টে ১০,০০০/- টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত । মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন শৈলকুপা এসি ল্যান্ড পার্থ প্রতিম শীল।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গো খাদ্য বিক্রি করে আসছিল মোঃ মুক্তার হোসেন। বিভিন্ন নামী দামী কোম্পানীর ষ্টিকার ব্যবহার করে এসব ভেজাল নিম্ন মানের গো খাদ্য শৈলকুপা সদরসহ আশপাশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছিল । মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন শৈলকুপা উপজেলা ভ্যাটেরিনারী সার্জন মোঃ মামুন খানসহ সংশ্লিষ্ট আরো অনেকে।

ভ্যাটেরিনারী সার্জন মোঃ মামুন খান জানান, ইদুল আজাহাকে সামনে রেখে কৃষকেরা গরু -ছাগল মোটা তাজা করণের জন্য গো-খাদ্য হিসাবে গমের ভূষি অন্যান্য খাবারের সাথে খাদ্য হিসাবে ব্যাবহার করে। কিন্তু এই ভেজাল গোখাদ্যের কারণে শৈলকুপায় গোবাদী পশুর পেটের পিড়া ইদানিং বেড়ে গেছে। কিছকিছু ক্ষেত্রে কোন ওষুধেও কাজ হচ্ছেনা। ফলে ঈদুল আজাহার প্রাক্কালে কৃষকদের গোবাদি পশু গরু-ছাগলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে ।

এদিকে এমন অভিযান চালানোয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছে। কৃষকেরা জানতে পারছে তারা কি ধরনের ফাঁকিতে পড়ছে এসব কিনে ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button