এম হাসান মুসা, ঝিনাইদহের চোখঃ
কাঁঠাল খেতে পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া যাবে খুবই কম। এই ফলের পুষ্টিগুন অনেক। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এখন কাঁঠালের ভরা মৌসুম চলছে। এবার শৈলকুপায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হলেও দাম কম হওয়ায় বাগান মালিকরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শৈলকুপার মাটি ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ বাণিজ্যিক ভাবে কাঁঠাল বাগান গড়ে তুলছে। এ জন্য বিগত কয়েক বছর যাবত কাঁঠালের উৎপাদন বেড়েছে। ঝিনাইদহ জেলার সবচেয়ে বড় কাঁঠালের হাট বসে শৈলকুপায় । জ্যৈষ্ঠ মাস থেকেই শৈলকুপা বাজারে কাঁঠালের হাট বসে এবং আশ্বিন মাস পর্যন্ত হাটে কাঁঠাল ওঠে।
একমাত্র শৈলকুপা হাট থেকেই শনি ও মঙ্গলবার প্রায় ১০ থেকে ১৫ ট্রাক কাঁঠাল দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করা হয়। শৈলকুপা হাটে আগত বেপারিরা জানায়, এবার কাঁঠালের সাইজ ছোট ও দাম কম। ছোট সাইজের প্রতি ‘শ’ কাঁঠাল নিচে দুই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের কাঁঠাল প্রতি ‘শ’ ৩ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা এবং বড় সাইজের প্রতি ‘শ’ ৬ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে কাঁঠালের পাইকারি বাজারে দাম শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ কম বলে বেপারিরা জানায়। শৈলকুপা হাটে সপ্তাহে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের কাঁঠাল কেনাবেচা হচ্ছে। প্রতি মাসে এ হাটে প্রায় কোটি টাকার কাঁঠাল কেনাবেচা হয়ে থাকে।
কাঁঠাল এমন একটি ফল যার কোন অংশই বাদ হয় যায় না। কাঁঠাল কাঁচা রেধে খাওয়া যায়, পাকা খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠাল দিয়ে হরেক রকম পিঠা তৈরি করা যায়। কাঁঠালের বিচি রেধে খাওয়া যায়। এছাড়ার এর বাকল ছাগল-গরু খায়। কাঁঠালের পুষ্টিগুনের মধ্যে রয়েছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিমাম, আয়রন, সোডিয়াম, জিঙ্ক এবং নায়াসিন। এছাড়াও কাঁঠালে রয়েছে আমিষ, শর্করা ও ভিটামিন যা মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
এতো পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এই ফলটি এলাকায় প্রচুর পরিমানে উৎপাদিত হলেও নেই কোন সংরক্ষণের ব্যবস্থা। এই ফলটি যদি সংরক্ষণ করা যেতো তাহলে বছরের অনেক সময়ই গ্রীস্মকালীন এই ফলটি মানুষ খেতে পারতো। কাঠাল চাষী ও ব্যবসীয়দের দাবি এ অঞ্চলে সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কাঁঠাল সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা হোক।