জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখঃ
মহেশপুর উপজেলায় সরকারীভাবে ধান ও চাল কেনার একমাস পার হলেও খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ মাত্র ১৩ টন ধান ও ২৫৮ টন চাল কিনতে পেরেছে। ধান ও চাল কেনা কম হওয়ার পেছনে কৃষিবিভাগের গাফিলতি, অকৃষকদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তি, আর্দ্রতা ও বাজার মূল্য থেকে সরকারি ক্রয় মূল্য কম হওয়া অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, এ উপজেলায় লটারিতে তালিকাভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ভাবে ৩ হাজার ১শত ১৯ মেট্রিক টন ধান এবং ১হাজার ৯শ ৫২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেড় মাস আগে মহেশপুরে কৃষকদের গোলায় ধান উঠলেও সরকারী খাদ্য গুদাম কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারছে না। ৩১১৯ মেট্রিক টন ধানের মধ্যে একমাসে মাত্র ১৩টন ধান ও ১৯৫২ মেট্রিক টন চলের মধ্যে ২৫৮ টন কিনেছে। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
ধান সংগ্রহ কম হচ্ছে কেন তা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নানা অনিয়মের চিত্র। কৃষি বিভাগ যে কৃষকদের তালিকা করেছে তাতে রয়েছে অনিয়ম। প্রকৃত কৃষকদের নাম বাদ দিয়ে অকৃষকদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেক কৃষক জানে না তাদের নাম তালিকায় আছে। আবার অনেক কৃষকদের ধান দেয়ার মতো সামর্থ্য নেই। আবার বিদেশে অবস্থান করা ব্যক্তির নামও রয়েছে কৃষকের তালিকায়।
এছাড়া আর্দ্রতার একটি প্রভাব পড়েছে ধান কিনায়। গ্রামের বাজারে কৃষকরা সহজে ধান বিক্রি করতে পারেন কিন্তু গুদামে ধান ১৪ ডিগ্রী আর্দ্রতা না থাকলে ধান নেন না খাদ্য গুদাম কর্তৃপক্ষ। এসব ঝামেলায় জড়াতে চান না কৃষকরা।
উপজেলার অনেক কৃষক জানিযেছে, বাজারে যে দামে ধান কেনা হচ্ছে সরকারিভাবে তার চেয়ে কম দামে কেনা হচ্ছে এ কারণে সরকারীভাবে ধান বিক্রি করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না কৃষকরা।
মহেশপুর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা আসাদুল হক জানান, এ পর্যন্ত তারা ১৩ টন ধান ও ২৫৮ টন চাল কিনতে পেরেছে।