লাঙ্গলবাঁধ বাজার অবৈধ কারেন্ট জালের জমজমাট ব্যবসা
ঝিনাইদহের চোখঃ
মাগুরার শ্রীপুরের লাঙ্গলবাঁধ বাজারে অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবসা জমজমাট চললেও প্রশাসন রয়েছে নিরব ভুমিকায়। জেলার শ্রীপুর থানা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার শেষ প্রান্তে গড়াই নদীর তীর ঘেষে লাঙ্গলবাঁধ বাজারটি গড়ে উঠেছে। বাজারটি দুই থানার সিমান্তে গড়ে উঠলেও প্রশাসনিকভাবে পুরো বাজারটি শ্রীপুর থানা পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা গেছে, বাজারের চুরি পট্টির অমৃল্য কুমার, চিত্র কুমার, আব্দুস সালাম, আব্দুল রশিদ, আব্দুল আলিফ, মস্তোফা, জাহিদ হার্ডওয়াড ও জনতা ব্যাংকের নিচে জান্নাত হার্ডওয়াডে প্রকাশ্যে সরকারী আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে তারা অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবসা জমজমাট ভাবে চালিয়ে আসছে। প্রতিদিন রাজবাড়ি জেলার পাংশা, কালুখালী, বালিয়াকান্দী, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, কুমার খালী, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা ও মাগুড়া জেলার মহাম্মদপুর এবং শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধ কারন্ট জালের ব্যবসা ও মৎস্য শিকারীরা এ বাজারে জাল কিনতে আসে। অবৈধ এসব কারেন্ট জাল প্রতি একশ গ্রাম ৫০০ থেকে ১৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গয়েশপুর ইউপির চেয়ারম্যান আঃ হালিম মোল্যা বলেন, বাজারে কে কি বিক্রি করছে সেটা আমার জানা নেই। শ্রীপুর থানার দায়িত্বরত মৎস্য অফিসার সোহাগ জানান, খুব শীঘ্রই আমি টিএনও স্যারের সাথে আলোচনা করে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।
স্থানীয় মালিথীয়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই অমিত কুমার জানান, বাজারটি যেহেতু শ্রীপুর থানার ভিতরে তাই আমার কিছু করনীয় নেই। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহম্মেদ মাসুদ জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেওয়া হবে।
শ্রীপুর টিএনও ইয়াসীন কবির জানান, যারা অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রির সাথে জড়িত তাদের নাম ঠিকানা আমাকে দেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব।