জাহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত এ জেলায় ৩৯০ জন আক্রান্তের মধ্যে মহেশপুরের ভারত সীমান্তে অবৈধ পারাপার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। গত ৩দিনে এ সীমান্তে শিশু সহ ৩৩ জন নারী পুরুষ বিজিবির হাতে আটক হয়েছে।
প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, ঝিনাইদহ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরা জেলা স্বাস্থ্য ঝুকির মধ্যে। এরই মধ্যে মহেশপুর উপজেলায় ভারত সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পারাপার বেড়ে যাওয়ার কারণে এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুকি মনে করছে। পার্শ্ববর্তী ভারত এখন বিশ্বের করোনা ঝুকির শীর্ষ রাষ্ট্রগুলির মধ্যে একটি। এ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যারা পারপার হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ রয়েছে। এলাকার সচেতন মহল মনে করছে এরা করোনা ভাইরাসও বহন করতে পারে। গত ৯জুলাই ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় শ্যামকুড় টহল বিওপি সেজিয়ার একাশিপাড়া নামক স্থান ধেকে শিশু সহ ৯জনকে আটক করে। এদের বাড়ি মানিকগঞ্জ, বাগেরহাট, ফকিরহাট, নড়াইল ও মাগুরা জেলায়। একই দিন রাতে বাঘাডাঙ্গা বিওপির টহল দল বাকোসপোতা মোড় থেকে শিশু সহ ১০জনকে ভারত যাওয়ার সময় আটক করে। এদের বাড়ি গোপালগঞ্জ ও যশোর জেলায়। এর আগে গত ৮ই জুলাই খোসালপুর সীমান্ত থেকে বাঘাডাঙ্গা বিওপি শিশু সহ ১৪জনকে আটক করে। এ বিষয়ে মহেশপুর থানায় পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে।
করোনার কারণে এপ্রিল মাসে অবৈধ পারাপার বন্ধ থাকলেও মে মাস থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বাঙ্গাডাঙ্গা গ্রামের ঝড়– মন্ডুলের ছেলে সাইফুল ও বাকোসপোতা গ্রামের আব্দুর খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীরের নেৃতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে মানুষ পারপার করে আসছে বলে জানা গেছে।
৫৮বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গত ৩দিনে ৩৩জনকে অবৈধভাবে পারাপারের সময় আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত কয়েকমাস আগে ভারতে এনআরসি কারণে যারা বাংলাদেশে চলে আসছিল তারা আবার ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভারত থেকে যারা আসছে তারা কেন আসছে তার সঠিক তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তিনি আরো জানান, পাচারকারী সাইফুল বিজিবির নজনদারিতে আছে তার বাড়িতে অনেকবার হানা দিয়েও আটক করা সম্ভব হয়নি।
মহেশপুর থানার ডিউটি অফিসার এস.আই আবুজার গিফারী জানান, আটককৃতদের ঝিনাইদহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।