রাজিব মাহমুদ টিপু, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ম শ্রেণীর পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রী(১৬) কে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক জুয়েল রানা (২২) কে গ্রফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি পৌর এলাকার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। ধর্ষক ওই গ্রামের রশিদ মন্ডলের ছেলে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, শিশুকাল থেকে ওই ছাত্রী তার নানী বাড়িতে বসবাস করে আসছে। সে উপজেলার কাতলাগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুত্র ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ৯/৭/২০ (বৃস্পতিবার) সকালে জুয়েল তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকায় ছাত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে জুয়েল ।
একই দিন রাত ৮টার দিকে ধর্ষকের বাবা-মা বাড়িতে আসলে ধর্ষক জুয়েল তার পূর্ব পরিচিত পৌর এলাকার সাতগাছি গ্রামে জনৈক মিলন হোসেন নামে একজনের বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে সারারাত ধর্ষণ করে। পরের দিন সকাল ৭টার দিকে উপজেলার কাতলাগাড়ী নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। ধর্ষক তার খালাতো ভাইকে ডাকার কথা বলে সুকৌশলে সেখানে ওই ছাত্রীকে রেখে পালিয়ে যায়। ওই ছাত্রী উপায়ন্তর না দেখে জুয়েলের বাড়িতে ফিরে যায়। ঘটনার বিস্তারিত ধর্ষকের পরিবারকে খুলে বললে তারা খারাপ আচরণ করে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে ওই ছাত্রী শৈলকুপা থানায় গিয়ে পুলিশকে বিস্তারিত খুলে বলে।
তার নানী বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখ : ১১-৭-২০ ইং। এঘটনায় ওই দিনই এসআই তরিকুল ইসলাম ধর্ষককের নিজ বাড়ি থেকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল পড়–য়া ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার একমাত্র আসামী ধর্ষক জুয়েলকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।