হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকে সিজারের পর প্রসুতির মৃত্যু
এম. মাহফুজুর রহমান, ঝিনাইদহের চোখ-
মহেশপুরের পর এবার হরিণাকুন্ডু শহরের ভাই ভাই ক্লিনিকে রোজিনা খাতুন (২০) নামে এক প্রসুতি সিজারের পর মৃত্যু বরণ করেছে। তবে তার যমজ দুই সন্তান বেঁচে আছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে করোনা উপসর্গ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ডাক্তার জামিনুর রশিদ ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। মৃত গৃহবধু হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের শিলনের স্ত্রী।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, রোজিনা খাতুন জ্বর নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের শামিমা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন। জটিলতা থাকায় ডাঃ শামিমা অপারেশনের ঝুকি না নিয়ে রোগী ফিরিয়ে দেন। এরপর রোজিনা ভর্তি হয় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। স্বজনরা বৃহস্পতিবার রাতে হরিণাকুন্ডু হাসপাতাল মোড়ের ভাই ভাই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। শুক্রবার সকালে ওই ক্লিনিকে ভর্তির পর ডাঃ জামিনুুর রশিদ ও ডাঃ আহসান হাবিব অপারেশন করেন রোজিনাকে। অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে পেট ফুলে গিয়ে রোজিনার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বামী শিলন মিয়া।
তবে ডাঃ জামিনুুর রশিদ জানান, রোজিনার করোনা উপসর্গ ছিল। ছিল প্রচন্ড জ্বর,শ্বাস কষ্ট,গলা ব্যাথা। অন্যদিকে তার ডেলিভারির সময়ও হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তাকে অপারেশন করে দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এলাকাবাসি জানায়, হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাইসহ ৬টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। নেই সাইনবোর্ড। নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স, প্যাথলজি টেকনিশিয়ান। নেই চিকিৎসার নুন্যতম কোন পরিবেশ। ক্লিনিকগুলোতে সর্বক্ষন কোন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত নার্স নেই।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, শুনেছি হরিণাকুন্ডুর ভাই ভাই ক্লিনিকে এক প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কাউকে ছাড় দেওয়ার আর স্কোপ নেই।