অসচেতনতায় ঝিনাইদহে বাড়ছে করোনা/নতুন আক্রান্ত ৪১ জন
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহে নতুন করে আরও ৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ১৫৬২ জন।
প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য মাইকিং করলেও তেমন সামাজিক দুরত্ব মানছে না জনগন। প্রশাসনের নমনীয় ভাবের কারণে করোনা রোগীর সংখ্যা দিনি দিন হু হু করে বাড়ছে। শহরে ও হাটে বাজারের লোকজন চলাচল করছে গাদাগাদি করে। শহরের লোকজন অনেকেই মুখে মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দুরত্বের কোন প্রয়োজন মনে করছেন না। এছাড়াও গ্রাম এলাকায় করোনা রোগ হলে কি হয় তাও অনেকেই জানে না। ফলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করার গুরুত্বও তাদের কাছে নেই। এদিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনা টেষ্টের নমুনাও নেওয়া হচ্ছে কম। যার ফলে অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েও রিপোর্ট না করতে পেরে সাধারণ মানুষের মাঝে ঘোরাফেরা করছে।
স্বাস্থ্য সচেতন মহলের অভিমত প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কঠোর অবস্থানে গেলে সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি অনেকটা মানতে বাধ্য হবে।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা একজন সাধারণ মানুষ জানান, মাস্কপরা সরকার যেখানে বাধ্যতামূলক করেছে এবং মাস্ক না পরলে জরিমানার বিধান রেখেছে তারপরও মানুষ কেন মানছে না তা প্রশাসনকেই খতিয়ে দেখে কঠোর অবস্থানে নেওয়ার দাবি তার।
একজন ভুক্তভোগি জানায়, করোনা টেষ্ট করতে গিয়ে নানা ধরণের ভোগান্তি পোহানোর কারণে অবশেষে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে করোনা উপসর্গের কথা বলে যে সমস্থ ঔষধ ডাক্তারের পরমর্শে খেয়েছিলাম তা দ্বারা এখন আমি অনেকটা সুস্থ্য। তবে আসলেই আমার করোনা হয়েছিল কি না তা জানতে পারলাম না। করোনা রোগের এন্টিবডি আমার শরীরে হয়ে থাকলে আমি কিছুটা হলেও মানষিকভাবে স্বস্তি পেতাম।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন কার্যলয়ের মেডিক্যাল অফিসার ও করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া ল্যাব থেকে ঝিনাইদহে গত ২২, ২৩ ও ২৪ আগষ্ট তারিখের আংশিক নমুনার মধ্যে ১১২ টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৪১ টি পজেটিভ।
আক্রান্তরা হলেন, সদর উপজেলায় ৩০ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন, শৈলকুপা উপজেলায় ৩ জন, হরিনাকুন্ডু উপজেলায় ৪ জন এবং কোটচাদপুর উপজেলায় ১ জন। আক্রান্ত ১৫৬২ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৯৮৭ জন। কোভিড-১৯ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ জন।