শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ানো এন্টিভেনম পাওয়া যাচ্ছে
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহের চোখ-
স¤প্রতি ঝিনাইদহের শৈলকুপাসহ অন্যান্য উপজেলাতেও সাঁপের কামড়ে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে শৈলকুপা উপজেলায় গত দু’মাসে সাঁপের কামড়ে প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার রাতেও উপজেলার সাতগাছি গ্রামে সুমাইয়া (৮) নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী ওই গ্রামের সুজাল মন্ডলের মেয়ে ও সাতগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে বিছানা থেকে সাঁপে কামড়ায়। পরে ওঝার কাছে নিয়ে গেলে ঝাড়ফুক করার এক পর্যায়ে অবস্থার অবনতি হলে শৈলকুপা হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, শৈলকুপার হরিহরা, নাকোইল, তামিনগর, ভাটইসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ গত দু মাসে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বল জানা গেছে। যাদেরকে সাঁপে কামড়ে তাদের বেশীর ভাগ রোগীই হাসপাতালে নেওয়ার আগে ওঝার বাড়িতে ঝাড় ফুক করতে করতে মারা গেছে।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং জেলা বিএম এ এর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাশেদ আল মামুন জানান, সাঁপে কামড় দিলে এখন থেকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সেবা পাবেন রোগীরা। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিষাক্ত সাঁপের দংশনের রোগীদের এন্টিভেনম প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ধলহরাচন্দ্র গ্রামের হেকমত শেখের ছেলে নুরুল ইসলাম শেখ সাপের কামড়ে অসুস্থ্য হলে তাকে এন্টিভেনম প্রয়োগ করে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করা হয়েছে। তাই এখন থেকে সাঁপের কামড়ের রোগীকে আর ওঝার নিকট না নিয়ে দ্রæত হাসপাতালে নিয়ে আসার আহব্বান জানান এই কর্মকর্তা।