আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২০ উপলক্ষে ঝিনাইদহে ওয়েবিনার
ঝিনাইদহের চোখ-
‘তথ্য অধিকার সংকটে হাতিয়ার’ এই প্রতিপাদ্যে ‘সংকটকালে তথ্য পেলে জনগণের মুক্তি মেলে’ শ্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরজ কুমার নাথ বলেন, তথ্যের অধিকার নিয়ে একদিন নয় প্রত্যেক দিনই কাজ করতে হবে। এসময় ঝিনাইদহে তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত সনাক ও ইয়েস সদস্যদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও দাবির প্রেক্ষিতে এই অধিকার নিশ্চিতে জেলার সকল সরকারি কার্যালয়ে তথ্য প্রদানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ঝিনাইদহ এর উদ্যোগে জুম মাধ্যমে আয়োজিত আলোচনা সভায় সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), ঝিনাইদহ সহযোগী সংগঠন হিসেবে অংশগ্রহণ করে। আরও অংশগ্রহণ করেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সনাক, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্য, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
কর্মসূচিতে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক) মোঃ মোঃ আরিফ-উজ-জামান, সনাক সভাপতি মোঃ সায়েদুল আলম, সনাক সদস্য এন. এম. শাহজালাল ও সুরাইয়া পারভীন মলি, জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আবুবকর সিদ্দীক ও ইয়েস দলনেতা উম্মে সায়মা জয়া প্রমূখ। দিবসের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সনাক এর তথ্য ও পরামর্শ ডেস্ক উপকমিটির আহŸায়ক এম. আব্বাস উদ্দিন আহমেদ।
বক্তাগণ বলেন, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ সম্পর্কে মানুষের সঠিকভাবে জানা থাকলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। তথ্য পাওয়া মানুষের অধিকার, এ সম্পর্কে জানতে হবে। তথ্য গ্রহীতা ও দাতা উভয়কেই সচেতন হতে হবে। বাস্তবায়নকারীদের আন্তরিক হতে হবে। জেলা তথ্য অফিসার বলেন, আইন সম্পর্কে জানতে হবে। আইন অনুযায়ী স্বপ্রনোদিত তথ্য প্রকাশের নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুসরণের প্রস্তাব করেন।
কর্মসূচিতে টিআইবি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অংশীজনের বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত সুপারিশসমূহ হলো তথ্য অধিকার আইনে ব্যবসা, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তথ্য অধিকার আইনে অনুরোধকারীর আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিধান করতে হবে। তথ্য অধিকার আইনের পরিপন্থ’ী বিদ্যমান আইনসমূহ সংস্কার বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাতিল করতে হবে। সকল কর্তৃপক্ষকে স্ব-উদ্যোগে তথ্য প্রকাশের নীতিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। তথ্য প্রদানে নিয়োজিত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞান ও তথ্য প্রদানে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা অর্জনে বিভিন্ন কারিগরী ও অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় হয়রানিমূলক গ্রেফতারের শিকার গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলকে মুক্তি দানের মাধ্যমে আস্থার পরিবেশ তৈরি ও স্বাধীন মতপ্রকাশের সুরক্ষা দিতে হবে।