ফেসবুকের কল্যাণে ২ বছর পর বাড়ি ফিরলো গান্নার জাকির
মামুন সোহাগ, ঝিনাইদহের চোখ-
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মানসিক প্রতিবন্ধীদেরকে নিয়ে রেষ্টুরেন্টে খাওয়ান ওসমান আরবি। মাথাপিছু দু’শো টাকা করে খরচ করেন তিনি। ৩০ বছর বয়সি একজনের স্বাভাবিক কথা ও আচরণে তার নজর কাড়ে।
অনেকদিন না কাটা চুল দাড়ি কেটে নতুন পোশাক পরান তাকে। ভারসাম্যহীন মানুষটা জানায় তার বাড়ি যশোর। কথাগুলো প্রতিবেদককে বলছিলেন জাকির ওরফে নাসিরের সন্ধানদাতা ওসমান আরবি।
তিনি আরো জানান, ওর সাথে কথা বলার পরপরই আমি ফেসবুকে নিঁখোজের সন্ধান চেয়ে পোষ্ট করি। ও আমাকে বলে নাম নাসির। বাড়ি যশোর তবে যেতে চায় ঝিনাইদহের পাগলা কানাই। আমার পরিচিত এক বাসে তাকে উঠিয়ে দিই। চুক্তি করে নিই, সে ঝিনাইদহের পাগলা কানাই গিয়ে কিছু চিনলে তাকে রেখে আসতে আর না চিনলে যেনো আবার তাকে ঢাকাতেই ফেরৎ আসে।
ওসমান আরবি জানান, এর মাঝে ফেসবুকের United health development programme -UHDP পেজে নাসিরকে নিয়ে করা পোষ্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। আশার কথা হচ্ছে তার পরিবারের নজরে আসে বিষয়টি। তারাও তাকে পেতে মরিয়া হয়ে যায়। এরপর ৫ অক্টোবর (সোমবার) ঝিনাইদহে আসলে জাকির ওরফে নাসির তার পরিবারের কাছে হাজির হয়।
সন্ধানদাতা আরবি তাকে পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পেরে বেশ আনন্দিত। পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীও দম ফিরে পেয়েছে।
ফিরে পাওয়া জাকিরের বাড়ি যশোর। বহুদিন আগে তার বাবা-মা ঝিনাইদহের বেতাই গ্রামে এসে আশ্রয় নেয় স্থানীয় চেয়ারম্যান ওয়াহাব আলীর বাড়িতে। এরপর এখানকার স্থানীয় বলেই পরিচিত তারা।
প্রসঙ্গত, ২ বছর আগে হারিয়ে যান ৩০ বছর বয়সী জাকির। এর আগে তিনি গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে বেড়াতেন। স্থানীয় গান্না ইউনিয়নে তিনি বেশ পরিচিত।