ঝিনাইদহের চোখ-
অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নদীপাড়ে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধারা । মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভাঙ্গন কবলিত নদী তীরে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেয় । শৈলকুপার গড়াই নদের পাড়ে বড়–লিয়াতে আজ দুপুরে এ মানববন্ধন হয় ।
এর আগে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশে ঝিনাইদহের শৈলকুপা, কুষ্টিয়ার খোঁকসা, কুমারখালী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা বক্তব্য রাখেন । তারা ভাঙ্গন কবলিত দ’ুপাড়ের মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সহ সবার পুনর্বাসনের দাবি জানান।
জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান টুলু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মেহের আলী, যুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার লুৎফর রহমান, আইয়ুব, আসাদুজ্জামান, আব্দুর রহমান, আব্দুর রফিক প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা-স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন এবং বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, পদ্মার শাখা গড়াই নদ কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে মাগুরার দিকে গেছে। বছরের পর বছর খর¯্রােতা এ নদের অব্যাহত ভাঙ্গনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা অংশের বড়–লিয়াতে রয়েছে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প কুষ্টিয়া প্রধান খাল । দিনে দিনে গড়াই নদের মারাত্মক ভাঙ্গনে এই সেচ প্রকল্পের কুষ্টিয়া প্রধান খাল ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে। গড়াই নদের ভাঙ্গন থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে উত্তর-দক্ষিন দিক দিয়ে খালের অবস্থান। যে কোন সময় বিলীন হতে পারে জিকে সেচ প্রকল্পের এ প্রধান খালটি।
বর্তমানে মকলেস বিশ্বাসের বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা আঃ জলিলের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙ্গন রয়েছে। ভাঙ্গনে এরই মধ্যে প্রায় ৫শ পরিবার, ১৪শত বিঘা ফসলী জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ইদগাহ,গোরস্থান, শশ্বান ও বাজার সহ সব ধরনের স্থাপনা নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঝিনাইদহের শৈলকুপার বড়–লিয়া এলাকার গড়াই নদের উজানে কুষ্টিয়া জেলার সীমানায় স্থায়ী ব্লক নির্মাণের কারণে নদীর তীব্র স্্েরাত বড়–লিয়াতে পড়ছে। এই নদের ভাটিতে মাগুরা জেলাতেও অনেকগুলো স্থায়ী ব্লকবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙ্গন রোধে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা অংশে কোন স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর অস্থায়ী ব্লক করলেও তা টেকে না । অবশ্য বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প পাঠানো হয়েছে বলে বরাবর জানিয়ে আসছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা