দীর্ঘ ৭ মাস পর আবার চালু হলো ঝিনাইদহের বিনোদন কেন্দ্রগুলো
মনিরুজ্জামান সুমন, ঝিনাইদহের চোখ-
করোনা পরিস্থিতির কারনে দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধ থাকার পর আবারো চালু হলো ঝিনাইদহের সব থেকে বড় বিনোদন কেন্দ্র জোহান ড্রিমভ্যালী পার্ক এন্ড রিসোর্ট সেন্টার। এ পার্কটি খুলনা বিভাগের মধ্যে সব থেকে বড় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। পার্কটি জেলা শহরের রাউতাইল এলাকায় চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত।
জানা যায়, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই পার্কে করোনা পরিস্থিতির আগ মুহুর্ত পর্যন্ত প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ শিশু সন্তান ও পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসতো। এখানে শিশুদের হরেক রকম কিডস এর ব্যবস্থাসহ রয়েছে থ্রিডী মুভি ও অন্যান্য বিনোদন মাধ্যম।
এছাড়াও এই পার্কে বিয়ে, বৌভাত, সুন্নতে খাৎনা, পিকনিক ও সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করার ব্যবস্থা রয়েছে। দীর্ঘ ৭ মাস বন্ধের পর আবার পার্কটি চালু হওয়ায় কর্মরত শ্রমিক ও দর্শনার্থীরা শান্তির নিশ^াস ফেলতে শুরু করেছে। এই পার্কের মাধ্যমে শতাধিক মানুষের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে।
পার্কে বেড়াতে আসা ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ জানান, তিনি তার ৩ শিশুকে নিয়ে অনেক দিন পর পার্কে বেড়াতে এসেছেন। ঘরবন্দি থাকতে থাকতে ক্লান্ত পরিবারের লোকজন। তাদেরকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে এসে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন আনন্দ প্রকাশ করেন। একই সাথে তিনি স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে দর্শনার্থী প্রবেশের বিষয়ে খেয়াল রাখার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষকে।
জোহান ড্রিমভ্যালী পার্ক এন্ড রিসোর্ট সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পার্কটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। শুক্রবার (৯ অক্টোবর) থেকে আবার মৌখিক নির্দেশেই পার্কটি চালু করা হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখেই পার্কে দর্শনার্থীদের চলাচলের আহব্বান জানান তিনি।
ইতিমধ্যে পার্কে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার স্প্রে করা ও মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা। পার্কে যত দর্শনার্থী আসবে প্রত্যেককে টিকিটের সাথে একটি মাস্ক বিনামুল্যে দেওয়া হবে।
পার্কের কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও কর্মচারী বেতন বন্ধ ছিলো না। যে কারনে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে তাকে, যা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।