টিপু সুলতান, শৈলকুপা, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সারুটিয়া ইউনিয়নে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দফায় দফায় বাড়ি-ঘরে হামলা, পাল্টা হামলা, মামলা চলমান রয়েছে। এসব ঘটনায় প্রতিপক্ষের দয়ের করা মামলা ও পুলিশের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকায় জনমনে অতঙ্ক বিরাজ করছে।
সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মামুন ও প্রতিপক্ষ জুলফিকার কায়সার টিপু গ্রæপের সংঘর্ষে সুফিয়া খাতুন (৫৫) নামে ভাটবাড়িয়া গ্রামের এক মহিলা নিহত হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার ও কাতলাগাড়ি বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সপ্তাহব্যাপী বাজার সংলগ্ন কৃষ্ণনগর, কৃত্তিনগর-ভুলুন্দিয়া, ব্র²পুর, পুরাতন বাখরবাসহ বিভিন্ন গ্রামে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এক তরফা বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সোমবার কাতলাগাড়ি গরু বাজার দখল ও আধিপত্য বিস্তার করার জন্য চেয়ারম্যান গ্রæপের দলীয় সমর্থকরা বিভিন্ন গ্রামের মত ভাটবাড়িয়া গ্রামেও কর্মী চাঙ্গা করতে তৎপর থাকে। সকাল ৭টার দিকে টিপু গ্রæপের সমর্থক জালাল উদ্দিনের বাড়ি-ঘরে প্রতিপক্ষ মামুন গ্রæপের লোকজন হামলা চালায়। অতর্কিত হামলায় জালাল উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৫৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সংঘর্ষে জালাল উদ্দিনের ছেলে সাগর, বিল্লাল, আকবর আলির ছেলে জাহিদুলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ সময় ভাটবাড়িয়া গ্রামের উভয় পক্ষে বেশকিছু বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর লুটপাট করা হয়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাটবাড়িয়া গ্রামসহ কাতলাগাড়ি বাজার এলাকায় প্রয়োজনীয় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।