শৈলকুপায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ‘জমি আছে ঘর নাই’ আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পে ঘর নির্মাণে অনিয়ম প্রসঙ্গে ডিবিসি নিউজ সহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশেরর পর সর্বোচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ দুপুরে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ৩ সদস্যের টিমের শৈলকুপায় আসে। টানা ৩ ঘন্টারও বেশী সময় ধরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বলেন ও ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে এই বিশেষ প্রকল্প নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা নানা প্রসঙ্গে খোঁজ-খবর করেন। শৈলকুপার কবিরপুর সহ ভেঙ্গে পড়া কয়েকটি উপকারভোগীর ঘর পরিদর্শন করেন। দুদকের ৩ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দুদকের ইনেস্পক্টর আখতারুজ্জামান । তিনি জানান, দুদকের উপ-পরিচালকের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসেছেন । পরে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।
শৈলকুপায় এই ঘর নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়ম আর কেলেঙ্কারীর খবর টেলিভিশন চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা সহ গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়। চলতি সপ্তাহে ঘরগুলো ৩৭জন উপকারভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কোথাও নির্মাণের সময়ই ধ্বসে পড়ছে দেয়াল আবার কোথায় ইট-বালিসহ নিম্নমানের সামগ্রী দেয়ার অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল কয়েকটি ঘরের। ফাজিলপুর, কবিরপুর,মনোহরপুর, সাহবাজপুর সহ কয়েকটি গ্রামে এই ঘর নির্মাণে অনিয়ম ধরা পড়ে। ইট,বালি-সিমেন্ট সহ নির্মাণ সামগ্রী নিন্মমানের বলে কথা ওঠে । এসব ঘর তদারকি করেন শৈলকুপার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চলতি অর্থ বছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৭টি ঘর নির্মাণ হয়েছে। প্রতিটি ঘর বাবদ বরাদ্দ ছিল ১লাখ ২০ হাজার টাকা ।