শৈলকুপায় আটকা পড়ল বিলুপ্ত প্রায় নিশাচর গন্ধগোকুল
এম হাসান মুসা, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
গন্ধগোকুল নিশাচর স্তন্যপায়ী প্রাণী। স্থানীয় ভাবে ‘নেইল’ বলে পরিচিত। খাটাশের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এরাই মানুষের বেশি কাছাকাছি থাকে। দিনের বেলা বড় কোনো গাছের ভূমি সমান্তরাল ডালে লম্বা হয় শুয়ে থাকে, লেজটি ঝুলে থাকে নিচের দিকে। মূলত ফলখেকো হলেও কীটপতঙ্গ, শামুক, ডিম-বাচ্চা-পাখি, ছোট প্রাণী, তাল-খেজুরের রসও খায়। খাদ্যের অভাবে মুরগি-কবুতর ও ফল চুরি করে।
আর এই ফল চুরি করে খেতে গিয়ে আজ ভোরের দিকে আটকা পড়ল বিলুপ্ত প্রায় প্রাণীটি। ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর গ্রামের ইফতেখার আলমের বাড়িতে আটকা পড়ে।
তার ছেলে আব্দুল আজিজ জানায় , ইঁদুর ধরার জন্য কিছু ফল এনে খাঁচায় রাখা হয়েছিল, সেই ফল খেতে গিয়ে খাঁচাতে আটকা পড়ে।
পরে তারা বন বিভাগকে খবর দিলে উপজেলা বন বিভাগের কর্মীরা এই প্রাণীটি কে নিরাপদ জায়গাতে ছেড়ে দেয় । আব্দুর রহিম নামে বন বিভাগের কর্মী জানান, প্রাণীটি ক্ষতিকর নয় আর এটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
এরা ইঁদুর ও ফল-ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে কৃষকের উপকার করে।ধূসর রঙের লম্বা লেজধারী এই প্রাণীটির অন্ধকারে অন্য প্রাণীর গায়ের গন্ধ শুঁকে চিনতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। প্রায় পোলাও চালের মতো তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে থাকে। একসময় এর শরীরের গন্ধ উৎপাদনকারী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস সুগন্ধি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো।