দার্জিলিং কমলা চাষে সফল ঝিনাইদহের মহেশপুরের যুবক শামীম
সেলিম রেজা, মহেশপুর, ঝিনাইদহের চোখ-
সমতল ভূমিতে তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই দার্জিলিং কমলা চাষ করে সফল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী স্বরুপপুর ইউপির কুসুমপুর গ্রামের শুকুর আলীর পুত্র শামীম।
ভারতের দার্জিলিং থেকে আনা এই কমলা যেমন দেখতে তেমন স্বাদে।
এরইমধ্যে কিছু গাছের কমলা বিক্রী করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় আরও ৪ বিঘা জমিতে চাষ করছেন শামীম।
সুস্বাদু এই দার্জিলিং কমলার চাষ বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
স্বাদে অনন্য,পুষ্টিগুণে অসাধারণ, তাই কমলার কদর পাহাড় ও সমতল সবখানে।
পুষ্টিকর এই ফল এক সময় শতভাগ আমদানি নির্ভর থাকলেও এখন দেশেই চাষ করছেন অনেকেই।
ঝিনাইদহে এমনই এক বাগান গড়ে তুলছেন মহেশপুরের চাষী শামীম।
এস এস সি পাস করার পরেই ২০০৮ সাল থেকে তিনি কুসুমপুর মাঠে রাস্তার পাশে নিজ জমিতে নার্সারি ব্যবসা শুরু করেন।
ভারতের দার্জিলিং থেকে তার চাচাতো ভাই উসমান গনির আনা কমলার ডাল দিয়ে কলম তৈরি করে তা থেকে ৪০ টি চারা দিয়ে ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু।
ইতিমধ্যে ১৫টি গাছের কমলা বিক্রী করে ভালো টাকা পাওয়ায় কমলা চাষে আগ্রহী হয়ে একই মাঠের নিজ জমিতে আরও ৪বিঘা জমিগে সাড়ে তিনশ কমলা ও ফাঁকে ফাঁকে পেয়ারা ও আম বাগান করেছেন শামীম।
তার নার্সারি ভর্তি দার্জিলিং কমলার চারা।বিক্রি করছেন ১’শ থেকে দেড়’শ টাকা করে।প্রতিদিনই বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তা নিতে আসছে।
কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে তিনি দার্জিলিং কমলা চাষে শতভাগ লাভবান হয়ে তা ছড়িয়ে দিতে পারবেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এমনটাই জানালেন কমলা চাষী শামীম।
এরই মধ্যে দার্জিলিং কমলার সুনাম ছড়িয়ে পরেছে সবখানে।
হলুদ কমলার এমন সমারোহ এবং শামীমের বিশাল দার্জিলিং কমলার বাগান দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে দূর দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকেই।
শামীমের নার্সারি ও কমলা বাগানে এলাকার খেটে খাওয়া দিনমজুর লাল্টু,খোকন,বিশারত সহ অনেকেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে এতে যেমন বেকারত্ব দূর হয়েছে তেমনি কমলা চাষে দেশে ভিটামিন সি’ এর অভাব পুরন করতে অনেক ভূমিকা রাখবে।
সমতলভূমিতে ও পাহাড়ি কমলা চাষের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী।
দার্জিলিং কমলার কারণে পর্যটনের পরিচিতি পেয়েছে সীমান্ত বর্তী কুসুমপুর গ্রাম।