হরিণাকুণ্ডুতে পাঁচ দাবির ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত অফিস সহঃ কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের স্মারক লিপি প্রদান
হরিণাকুণ্ডুতে পাঁচ দাবির ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত অফিস সহঃ কাম-কম্পিউটার অপারেটরদের স্মারক লিপি প্রদান
এইচ মাহবুব মিলু, ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহের চোখ-
শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ‘সচিবালয়ের মতো পদবী পরিবর্তনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারি পরিষদ। মঙ্গলবার(২৯ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মাধ্যমিক ও উচচ শিক্ষা অফিসারদ্বয়কে, হরিণাকুণ্ডু বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী পরিষদ’ এর উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারক লিপি প্রদান করেন।
স্মারক লিপি প্রদান ও অবস্থান কর্মসূচীতে কর্মচারী পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নায়েব আলী এবং পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ অফিস সহঃ কাম-কম্পিউটার অপারেটরগণ এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, (০১) তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীদের নূন্যতম বেতনগ্রেড ১১তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।(০২) পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা/অফিস সুপার প্রদান করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং এর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। (০৩) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণিত চাকুরীবিধি-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। (০৪)শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। (০৫)সকল এম.পি.ও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
বাংলাদেশ বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারি পরিষদ হরিণাকুণ্ডু শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩ বারের সুপারিশ এবং ১০ম জাতীয় সংসদের মাননীয়বিরোধী দলীয় নেতার এতদবিষয়ে জাতীয় সংসদে বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ সত্তে¡ও কেন বৈষম্য দূর করা হচ্ছেনা তা আমাদের বোধগম্য নয়।
উলেখ্য নেত্রীবৃন্দ আরও বলেন, বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহঃ কাম-কম্পিউটার অপারেটরগণ পদবী ও আর্থিক বৈষম্যের শিকার। সোনার বাংলার কৃষক এবং কর্মচারীদের সবচেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু।