মহেশপুরে বন্ধের তালিকায় ১৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার
ঝিনাইদহের চোখ-
বন্ধ করে দেওয়া হবে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মানহীন ১৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার। সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি চিঠি (যারা স্মারক নং সিএসঝি/শা-১/২০২০/২৪৮৬) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বেসরকারী হাসপাতাল ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারের তালিকা রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ক্লিনিকের মান একেবারেই তলানীতে। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। নেই চিকিৎসার সুষ্ঠ পরিবেশ। ক্লিনিকগুলোতে সর্বক্ষন ডাক্তার ও নার্স থাকেন না। সিভিল সার্জন অফিস থেকে তদন্ত করতে গিয়ে এসব অসংগতি ধরা পড়ে।
বন্ধের তালিকায় থাকা এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো হলে, মহেশপুর উপজেলার গ্রামীন প্রাইভেট হাসপাতাল, পাতিবিলা মহেশপুর প্রাইভেট হাসপাতাল, ফাতেমা ক্লিনিক, সীমা ক্লিনিক, সুমন ক্লিনিক, ভৈরবা বাজারের মোমেনা প্রাইভেট হাসপাতাল, জিন্নানগরের নিউ মডার্ন ক্লিনিক, জিন্নানগর ক্লিনিক, নেপার মোড়ের পিয়ারলেস প্রাইভেট হাসপাতাল, বাকোসপোতা বাজারের মা ও শিশু প্রাইভেট হাসপাতাল, একই বাজারের একতা ক্লিনিক, গুড়দাহ বাজারের মায়ের দোয়া প্রাইভেট হাসপাতাল, পদ্দপুকুর মোড়ের মহিউদ্দীন প্রাইভেট হাসপাতাল, মহেশপুরের সনো ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার, মাষ্টার ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, সরকারের নির্দেশে এসব তালিকা করা হয়েছে। এখানে কোন স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্ব নেই। তিনি জানান, অচিরেই ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে অভিযান চালিয়ে তালিকা ভুক্ত এ সব ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এব্যাপারে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব জানান, ১৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোষ্টিক সেন্টার বন্ধের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা সর্বক্ষনিক এসকল ক্লিনিক গুলোতে নজর রাখছি। তবে সম্পূর্ণ রুপে বন্ধের ব্যাপারে আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এটার জন্যসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আছেন।
মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্বাশতী শীল জানান,ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে একটা চিঠি পেয়েছি, তবে সেটা বন্ধের ব্যাপারে কিনা জানি না।