শৈলকূপায় ৫ মণ ধানে ১ মণ পেঁয়াজ চারা
ঝিনাইদহের চোখ-
৯ নম্বর মনোহরপুর ইউনিয়নের চাষি নওশের আলী জানান, তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বীজ থেকে আশানুরূপ চারা না পাওয়ায় দেড় বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে পেরেছেন। চারার সংকট ও অতিরিক্ত দামে ১০ কাঠা জমি বাদ দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরেও পেঁয়াজের চারা মিলছে না। এক বিঘা জমিতে ফলন ভালো হলে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে ৭০ থেকে ৮০ মণ। উৎপাদন খরচ হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। ফলন বিপর্যয় হলে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে খ্যাত ঝিনাইদহের শৈলকূপায় পেঁয়াজ বীজের পর এবার দেখা দিয়েছে চারার তীব্র সংকট। চাষিরা পাঁচ মণ ধান বিক্রি করেও কিনতে পারছেন না এক মণ পেঁয়াজের চারা। চারার আকাশচুম্বী এ দামে কাঙ্ক্ষিত জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করতে পারছেন না চাষিরা। ফলে পেঁয়াজ চাষে লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বীজতলায় আশানুরূপ অঙ্কুরোদ্গম না হওয়ায় চারার এ সংকটে অতিরিক্ত দামেও মিলছে না পেঁয়াজ বীজের চারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শৈলকূপায় এবার নয় হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত বছর ছয় হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
উপজেলার বাদালশো গ্রামের চাষি জগদীশ পোদ্দার জানান, ‘এবার পেঁয়াজ বীজের যেমন সংকট ছিল, চারারও তেমন সংকট। গত বছর ২০-৩০ টাকা কেজিতে যে চারা পাওয়া যেত এবার তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এক বিঘা পেঁয়াজ উৎপাদনে এবার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হবে।’
পেঁয়াজ চারার সংকট ও অতিরিক্ত দামের কথা স্বীকার করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, গত বছর থেকে এবার তিন হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। চারার সংকট ও অতিরিক্তি দামে লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা ব্যাহত হতে পারে।